বিজয় দাস,নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ প্রচন্ড শীতকে অনেকটা উপেক্ষা করেই ইরি ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেত্রকোণার সীমান্তে দুর্গাপুর উপজেলার চাষিরা। মাঠের পর মাঠ জুড়ে চাষিদের কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবস্থা করেছেন। আজ বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আদিবাসী অধ্যুষিত ভবানীপুর গ্রামে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ হাজার ৬’শ হেক্টর ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোপন হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৪২০ হেক্টর। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বোরা রোপনের ধূম পড়েছে।
গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক হযরত আলী বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরী করে চারা রোপন শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়েই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি বোরো আবাদেও বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ হাজার ৬’শ হেক্টর, রোপন হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৪২০ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কৃষকগণ। এবার শীত মৌসুমে শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও কনকনে শীতের মধ্যেও বীজতলার কোনো ক্ষতি হয়নি।