হাওর বার্তা ডেস্কঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। সেই সঙ্গে দেখা দেয় নানান শারীরিক সমস্যাও। যা অনেক বেশি জটিল হতে থাকে। কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের ভালো-মন্দ তো লেগেই থাকে। তবে বয়স বাড়লে সবচেয়ে যে সমস্যা মানুষকে নাজেহাল করে তোলে তা হল ব্যথা-বেদনা।
স্বাভাবিক জীবনযাপনকে ব্যহত করে তোলে এই অবাঞ্ছিত যন্ত্রণা। তবে কিছু কিছু ব্যথা আছে যেগুলো বয়সকালীন উপসর্গ ভেবে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। বরং বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। নয়তো পরবর্তীতে বয়স আরো বৃদ্ধি পেলে এই সমস্যাগুলো ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। চলুন তবে সেই ব্যথাগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
বয়সের কারণে পিঠের ব্যথা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। হাড়ের ক্ষয় এবং ঘনত্ব হ্রাস, পেশি ও লিগামেন্টের স্থিতিস্থাপকতার মতো কয়েকটি কারণে এই সমস্যা দেখা যায়। মূলত বয়স ৪০ পেরোনোর পরেই এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তবে নিয়মিত ব্যয়াম বা শরীরচর্চা করলে বয়সজনিত এই ব্যথাগুলো সহজেই প্রতিরোধ করতে পারেন। এছাড়াও ফিজিওথেরাপি করলেই ব্যথার উপশম পেতে পারেন।
হাঁটুর যন্ত্রণা
হাঁটুর ব্যথা মারাত্মক বেদনা দায়ক হয়। এমনকি চলাফেরার শক্তিকেও দুর্বল করে দেয় এই যন্ত্রণা। মূলত শরীরের অতিরিক্ত ওজন, দুর্বল পেশি, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি হাঁটু ব্যথার কারণ হতে পারে। হাঁটুর সমস্যার কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে আগে থেকে সতর্ক হতে পারেন। যেমন-
হাঁটুতে ক্রমাগত যন্ত্রণা হওয়া
দাঁড়ানোর সময় হাঁটুতে ভর রাখতে অসুবিধা হওয়া।
কোমরের যন্ত্রণা
নিতম্ব সংলগ্ন এবং পায়ের হাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত কোমরে ব্যথাও বয়স্কদের মধ্যে বেশ দেখা যায়। মূলত অস্টিওআর্থারাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস মূলত এই ধরনের ব্যথার প্রধান কারণ। বয়সজনিত ব্যথা ভেবে এই ধরনের ব্যথা এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
কাঁধে যন্ত্রণা
কোন কারণে আকস্মিক আঘাত বা ভারী জিনিস তোলা-নামানো করলে অনেক সময় কাঁধে ব্যথা হয়। আবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ব্যথার মতো কাঁধে যন্ত্রণারও আবির্ভাব ঘটে। এই রকম হলে প্রাথমিক ভাবে হাতের ব্যয়াম করতে পারেন। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়া প্রয়োজন।
পেশির যন্ত্রণা
বয়স বাড়লে শরীরের পেশিগত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। হঠাৎ হঠাৎ পেশীতে খিঁচ ধরা বা তীব্র ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই পেশীর সমস্যাগুলো ২-৩ দিনের বেশি স্থায়ী হয় না। তবে এই ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী চলাই ভালো।