বিশ্ব তোলপাড় করা সর্ববৃহৎ কর ফাঁকি কেলেঙ্কারিতে নিজর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, তিনি ও তার স্ত্রী সামান্থা ক্যামেরন তার বাবা ইয়ান ক্যামেরনের অফসোর ট্রাস্ট-এর শেয়ারের মালিকানা পেয়েছিলেন।
ব্লেয়ারমোর হোল্ডিংস নামে অফসোর কোম্পানির ব্যপারে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ক্যামেরন জানিয়েছেন, ২০১০ সালে ওই শেয়ার ৩০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, শেয়ারের লভ্যাংশের ওপর তিনি আয়কর শোধ করেছেন।
সেগুলো থেকে কিছু মুনাফাও এসেছিল, কিন্তু সেই লভ্যাংশ ক্যাপিটাল গেইন্স ট্যাক্স ভাতার চেয়ে কম ছিল, ফলে যুক্তরাজ্যের অন্য সব সাধারণ করের মতই সেটি পরিশোধ করা হয়েছিল। ক্যামেরন
হয়তো সামনের সপ্তাহেই তার আয়কর বিবরণী প্রকাশ করতে যাচ্ছেন।
পানামা পেপারস নামে পরিচিত ধনী ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের কর ফাঁকির লাখ লাখ গোপন দলিলপত্র ফাঁস হওয়ার পর যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, সেটি এখন অনেকের ভুল বোঝাবুঝির কারণেও হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ক্যামেরন বলেছেন, ব্লেয়ারমোর সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, কর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যেই এটি হয়েছিল। কিন্তু ব্যাপারটি তা নয়। বরং একটি এক্সচেঞ্জ কন্ট্রোল হিসেবে এটি তৈরি হয়েছিল।
উদ্দেশ্য ছিল, যারা এসব ক্ষেত্রে লগ্নি করতে চায় তারা যেন তা করতে পারে। ওই প্রতিষ্ঠানটি যথাযথ নিয়ম মেনে আয়কর পরিশোধ করেছে এবং যথাযথভাবে সেটিতে অডিট চালানো হয়েছে।
এর আগে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী ক্যামরেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে, তার কোন অফসোর একাউন্টও নেই।
এরপর ডাউনিং স্ট্রীট থেকে আরেক দফা বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতেও কোন অফসোর বিনিয়োগ থেকে তিনি বা তার পরিবার লাভবান হবেন না।
প্রসঙ্গত, পানামার পেপার্সের গোপন নথিতে বলা হয়, তার বাবা ইয়ান ক্যামেরন বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ব্লেয়ারমোর হোল্ডিংস নামের একটি বিনিয়োগ তহবিল গড়েছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পাঁচজন পরিচালকের একজন হিসেবে ২০১০ সালে মৃত্যুর কিছুদিন আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। নথিতে দেখা যায়, বাহামার অন্তত ৫০ জন বাসিন্দা প্রতিবছর ব্রিটেনে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য ব্লেয়ারমোরের কাগজপত্রে সই করেছেন। ব্লেয়ারমোর ৩০ বছরের লাভের অংশ থেকে যুক্তরাজ্যকে এক পয়সাও কর দেননি। -বিবিসি