ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশে ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৯৫ কোটি ডলার ইটনায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও বস্ত্র বিতরণ প্রবাসে প্রেমিক ও লালমাইয়ে নববধূর আত্মহত্যা, চিরকুটে একই কবরে দাফনের অনুরোধ খুনের চার মাস পর নারীর মরদেহ উদ্ধার কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি : রিজওয়ানা হাসান সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শনে অমিত শাহ, বেনাপোলে ভোগান্তি অভিনয়ে সাফল্য পাননি তবুও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী!

সিলেটে তলিয়ে যাচ্ছে নিন্মাঞ্চলের ফসল, আগাম বন্যার আশঙ্কা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০১৬
  • ৩৩৮ বার

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোববার ও সোমবারের প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে নিচু জায়গা ও হাওরাঞ্চলের বোরো ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। সবজি ক্ষেতও বিনষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে রাস্তা উপচে পড়ছে পানি। বৃদ্ধি পেয়েছে সিলেটের সবকটি নদীর পানি।

শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত চার দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও রোববার দুপুর থেকে সোমবার ভোর রাত ৪ টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এই সময়ে ১৫৮ দশমিক ৮ সে:মি: বৃষ্টিপাত হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওর ও নিন্মাঞ্চল সমুহে পানিতে ভরে হয়ে উঠছে। নিচু এলাকার বিভিন্ন স্থানে আবাদকৃত বোরো ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার সন্ধ্যায় আবারও ভারী বর্ষণে আরেক দফা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বর্ষার আগেই আগাম বন্যার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফলে বোরো চাষিরা চরম হতাশা ও আতঙ্কে রয়েছেন।

সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনমাগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে দেড় সহস্রাধিক জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। আরো প্রায় দুই সহস্রাধিক জমির ধান গাছের এক তৃতীয়াংশ ডুবে গেছে। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এগুলোও তলিয়ে যাবে। বিভিন্ন এলাকায় টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষ্ণ চন্দ্র হোড় বিকালে বহুমাত্রিককে বলেন, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানি প্রবাহমান আছে। পানি হাওরে নেমে যাচ্ছে। তবে নিচু স্থানে বোরো জমিতে পানি প্রবেশ করছে। এখনও নিমজ্জিত হয়নি। কোথাও ধান গাছের এক তৃতীয়াংশ ডুবে গেছে। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টিপাত না হলে এই পানি দ্রুত নেমে যাবে। ক্ষতির কোন কারণ নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

সিলেটে তলিয়ে যাচ্ছে নিন্মাঞ্চলের ফসল, আগাম বন্যার আশঙ্কা

আপডেট টাইম : ১২:৪৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০১৬

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোববার ও সোমবারের প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে নিচু জায়গা ও হাওরাঞ্চলের বোরো ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। সবজি ক্ষেতও বিনষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে রাস্তা উপচে পড়ছে পানি। বৃদ্ধি পেয়েছে সিলেটের সবকটি নদীর পানি।

শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত চার দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও রোববার দুপুর থেকে সোমবার ভোর রাত ৪ টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এই সময়ে ১৫৮ দশমিক ৮ সে:মি: বৃষ্টিপাত হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওর ও নিন্মাঞ্চল সমুহে পানিতে ভরে হয়ে উঠছে। নিচু এলাকার বিভিন্ন স্থানে আবাদকৃত বোরো ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার সন্ধ্যায় আবারও ভারী বর্ষণে আরেক দফা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বর্ষার আগেই আগাম বন্যার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফলে বোরো চাষিরা চরম হতাশা ও আতঙ্কে রয়েছেন।

সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনমাগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে দেড় সহস্রাধিক জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। আরো প্রায় দুই সহস্রাধিক জমির ধান গাছের এক তৃতীয়াংশ ডুবে গেছে। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এগুলোও তলিয়ে যাবে। বিভিন্ন এলাকায় টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষ্ণ চন্দ্র হোড় বিকালে বহুমাত্রিককে বলেন, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানি প্রবাহমান আছে। পানি হাওরে নেমে যাচ্ছে। তবে নিচু স্থানে বোরো জমিতে পানি প্রবেশ করছে। এখনও নিমজ্জিত হয়নি। কোথাও ধান গাছের এক তৃতীয়াংশ ডুবে গেছে। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টিপাত না হলে এই পানি দ্রুত নেমে যাবে। ক্ষতির কোন কারণ নেই।