এইচএসসি ও সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার। নতুন সৃজনশীল পদ্ধতিতে এবাবে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেবে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী।
গত বছর এ পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থী ছিলো ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
এসএসসির মতো এ পরীক্ষায়ও প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিটের বিরতি থাকবে। আগে প্রথমে রচনামূলক পরে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হতো।
প্রথম দিন সকালে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র, বাংলা (আবশ্যকি) প্রথম পত্র (ডিআইবিএস)।
আলিমে কুরআন মাজিদের পরীক্ষা হবে। কারিগরিতে সকালে বাংলা-২ (১১২১) ও বিকেলে বাংলা-১ (১১১১) বিষয়ের পরীক্ষা হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। বিকেলের পরীক্ষা হবে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ৯ জুন।
ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ জুন। এবার ৮ হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ২ হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ২৬২ জন।
পরীক্ষার প্রথম দিন সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। মোট অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ছাত্র ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ ২ হাজার ১৩২ জন ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৭৯৬ জন।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫২৩, রাজশাহী বোর্ডে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৬৮, কুমিল্লায় এক লাখ ৯ হাজার ৬৩৩, যশোরে এক লাখ ৩৫ হাজার ৪৬, চট্টগ্রামে ৮৭ হাজার ৪৬৩, বরিশালে ৬২ হাজার ৪৮১, সিলেটে ৬৩ হাজার ৯৫৭ ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এক লাখ ৪ হাজার ৪৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। নতুন ছয়টি বিষয়ের ১১টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ায় এ বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরণের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। এছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।