হাওর বার্তা ডেস্কঃ হালের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মারধর ও যৌন নিপীড়নের মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং তুহিন সিদ্দিকী অমির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৯-এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন পরীমনি আদালতে উপস্থিত হয়ে চার্জশিটের ওপর নারাজি দেন।
অপরদিকে নাসির ও অমি আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন। তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আর নারাজি আবেদনের আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানান বিচারক।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন নাসির ও অমি। তবে মামলার অপর আসামি শহিদুল আলম পলাতক রয়েছেন।
গত ২৭ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন নাসির উদ্দিনের তিন নারী সহযোগী। তারা হলেন—লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা।
গত ১৪ জুন চিত্রনায়িকা পরীমনি সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে মামলা করার পর দুপুরে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে এজাহারভুক্ত দুই আসামি নাসির ও অমিকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় ওই বাসা থেকে মদ ও ইয়াবা উদ্ধারের কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
ওই বাসা থেকে নাসির ও অমির সঙ্গে তিন নারীকেও গ্রেফতার করা হয়, যাদের ‘যৌন কাজে’ সেখানে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
পরে মধ্যরাতে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের এসআই মানিক কুমার শিকদার।
এর পর এ মামলায় গত ১৫ জুন আদালত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া অপর তিন আসামি লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বর্তমানে নাসির জামিনে রয়েছেন। তবে অমি কারাগারে আটক রয়েছেন।