মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যা করতে পারেন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই সুন্দর একটি মানসিক স্বাস্থ্য প্রতিটি জীবনের একটি বড় চাওয়া। বর্তমান বিশ্বে অসুস্থতার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ থাকা। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখায় করণীয় পরামর্শ।

রুটিন মেনে চলুন

নিয়মানুবর্তী জীবন মানসিক স্বাস্থ্যে উন্নয়নের জন্য জরুরি। ঘুম থেকে ওঠার সময় এবং ঘুমের সময় নির্দিষ্ট করতে হবে। খাওয়া এবং কাজের জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন। শারীরিকভাবে আপনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে এমন সব কাজ করুন।

ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ব্যায়াম করুন। শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকতে পারাটা মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখবে। এ ছাড়া নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। ধ্যান মনকে শিথিল রাখবে এবং আপনাকে ইতিবাচক হতে সাহায্য করবে।

সুষম খাদ্য গ্রহণ

অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবজি ও ফল রাখুন। সাপ্তাহিক রুটিন করে ডাবের পানি এবং কলা খেতে পারেন। এসব খাবার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। চেষ্টা করুন, বিশুদ্ধ পানি পান করার।  এ ছাড়া ডার্ক চকলেট, কফি, লেবুর চা মুড ভালো রাখতে সহায়তা করে।

পছন্দের কাজগুলো করুন

কাজের চাপ বা ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য একটু সময় বের করা জরুরি। নিজের পছন্দের মানুষ বা পরিবারকে সময় দেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট সময় বের করে পছন্দের কাজগুলো করুন। এ ছাড়াও গান শুনুন, বই পড়ুন, ঘুরতে যান। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, সিনেমা দেখা এসবও মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

পছন্দের মানুষের সঙ্গে সময় কাটান

পছন্দের মানুষের সঙ্গে একটি সুন্দর ও মধুর একটি সম্পর্ক তৈরি করুন, এটি মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। যাদের আপনি ভালোবাসেন এবং যারা আপনাকে ভালোবাসে তাদের সঙ্গে সময় কাটান। বাবা-মা, সন্তান বা পছন্দের কোনো বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।

ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমান

ঘুমের আগে অনেকেই ল্যাপটপ চালানো বা টিভি দেখায় অভ্যস্ত। এগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। এমনকি মোবাইল ফোন থেকেও দূরে থাকুন। এগুলো ঘুমকে ব্যহত করে। এসব ডিজিটাল ডিভাইস আপনার চোখ ও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।

নিয়মমাফিক ঘুমান

পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারিতা অনেক। একজন মানুষের প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটি ভালো ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তবে ঘুম হতে হবে নিয়মমাফিক।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর