ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
  • ১৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংঘাত, ক্ষুধা ও দারিদ্রে আসছে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির ‘ইউএনডিপি’। 

মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষে ইয়েমেনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৩ লাখ ৭৭ হাজার।

এর মধ্যে ৭০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। মূলত বিমান হামলাসহ বিভিন্ন সংঘাত এসব মৃত্যুর প্রত্যক্ষ কারণ হবে। আর পরোক্ষ কারণ হবে, এসব হামলার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন সংক্রামক রোগ, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ।

তবে এসব মৃত্যুর ৬০ শতাংশই পরোক্ষ কারণে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেন, “ইয়েমেনে যুদ্ধের ময়দানের তুলনায় রোগ-ব্যাধি এবং ক্ষুধায় বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট। এই সংকট নিরসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

২০১৪ সাল থেকে সংঘাত চলছে দেশটিতে। ওই সময় রাজধানী সানাসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা দখলে নেয় হুতি বিদ্রোহীরা। তৎকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে তারা।

এর পর থেকে দেশটিতে সরকারি বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। ২০১৫ সালের মার্চে হাদি সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

জাতিসংঘের মতে, দেশটিতে বর্তমানে অনাহারে রয়েছে অন্তত ১ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ।

সূত্র: আল জাজিরা 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইয়েমেনে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে

আপডেট টাইম : ১০:২৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংঘাত, ক্ষুধা ও দারিদ্রে আসছে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির ‘ইউএনডিপি’। 

মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষে ইয়েমেনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৩ লাখ ৭৭ হাজার।

এর মধ্যে ৭০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। মূলত বিমান হামলাসহ বিভিন্ন সংঘাত এসব মৃত্যুর প্রত্যক্ষ কারণ হবে। আর পরোক্ষ কারণ হবে, এসব হামলার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন সংক্রামক রোগ, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ।

তবে এসব মৃত্যুর ৬০ শতাংশই পরোক্ষ কারণে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেন, “ইয়েমেনে যুদ্ধের ময়দানের তুলনায় রোগ-ব্যাধি এবং ক্ষুধায় বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট। এই সংকট নিরসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

২০১৪ সাল থেকে সংঘাত চলছে দেশটিতে। ওই সময় রাজধানী সানাসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা দখলে নেয় হুতি বিদ্রোহীরা। তৎকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে তারা।

এর পর থেকে দেশটিতে সরকারি বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। ২০১৫ সালের মার্চে হাদি সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

জাতিসংঘের মতে, দেশটিতে বর্তমানে অনাহারে রয়েছে অন্তত ১ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ।

সূত্র: আল জাজিরা