বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। পাঠদানের জায়গা না থাকায় প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাচ্ছে শিক্ষকেরা। এরই সাথে আকাশে মেঘ দেখলেই শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় ছুটি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় থেকে একাধিকবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিত ভাবে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
সরেজমিনে উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পূর্ব মোহনকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। স্থানয়িরা জানান, ভবন নির্মানের সময় নিম্নমানের কাজের ফলে অল্প দিনেই স্কুল ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরেছে। ওই ঝুঁকিপূর্ন ভবনে দীর্ঘ দুই বছর ধরে ৪জন শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতেন। বিদ্যালয়ের ভবনের প্লাাস্টার খসে পরে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যে আহত হয়েছেন। তিন কক্ষ বিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ন বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করালেও বর্তমানে বিদ্যালয়টি এতোই খারাপ ও ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায রয়েছে যে, ৬মার্চ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল গাজী ঝুঁকিপূর্ন বিদ্যালয়টির তিনটি কক্ষে তালা মেরে বন্ধ করে দেনূ। বিদ্যালয়ের পাশে পাঠদানের কোন জায়গা না থাকায় প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় সুধন্য বৈরাগীর বাড়ির সামনে খোলা আকাশের নিচেই বাধ্য হয়ে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে কোন রকমে।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম শরীফ জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একাধিকবার ভবন সংস্কারের আবেদন করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রগন করেনি কর্তৃপক্ষ। তাই আকাশে মেঘ দেখলেই ছুটি দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার বলেন, পূর্ব মোহনকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্নের কারনে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে একথা উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় জানানো হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে এডিপির অর্থায়নে ওই বিদ্যালয় মাঠে একটি টিনসেড ঘর নির্মান করে শিক্ষার্থীদের সাময়িক পাঠদানের ব্যবস্থার দাবি করা হয়েছে।