ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থকারী ফসল ফুলের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬
  • ৫৯৭ বার

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পর অর্থকারী ফসল হিসেবে ফুলের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। বর্তমানে ফুল সৌখিনতার বিষয় নয়। ফুলের ব্যবহার বেড়েছে। ফুলের সুবাস বাড়াতে গবেষণার প্রয়োজন।’

তিনি মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে দুইদিনব্যাপী প্রথমবারের মতো ফুল মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির (বিএফএস) সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ, ইউএসএআইডির বাংলাদেশ ফিড দ্যা ফিউচার টিম লিডার মার্ক টেজেনফিল্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইমামুল হক।

ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাস নিশ্চিত করতে গবেষণার প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্কিডসহ বিভিন্ন ফুলের বানিজ্যিক চাহিদা থাকা সত্বেও তা সেভাবে বাজারমূল্য পাচ্ছে না। ফুলের সুবাস কিভাবে স্থায়ী করা যায় তা নিয়ে গবেষণার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে আরও গবেষণা করতে হবে।’

কৃষিমন্ত্রী ফুল সেক্টরকে আরও টেকসই, শক্তিশালীকরণ ও রপ্তানীযোগ্য করতে ফুলচাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে সরকারী ও বেসরকারি উদ্যোগের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ফসলি জমির আইলে মৌসুমি সবজি চাষ করা হয়, একই প্রক্রিয়ায় ফুল চাষ করলে কৃষক আরও উপকৃত হবে।’

অনুষ্ঠানে ‘ফুল চাষের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির উপদেষ্টা ড. গয়ানাথ সরকার। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি সভাপতি আবদুর রহিম জানান, বৎসরে ২০১৪-২০১৫ সালে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ফুল উৎপাদন করেছে। বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ফুল দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। ১৯৮৩ সালের পরই দেশে ঝিকরগাছার পানসারা গ্রামে ৩০ শতক জমিতে বাণিজ্যিক ফুলের চাষ শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার কৃষক সরাসরি ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত।

মেলায় স্টলের সংখ্যা রয়েছে ২০টি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ফুল চাষি ও বাজারজাতকারীরা মিলনায়তনের গোলাপ, গাঁদা, গ্লাইকোডিয়া, জারবেরা, অর্কিড, রজনীগন্ধাসহ নানারকম রকম ফুলের সমাহার নিয়ে বসেছে এই প্রদর্শনী।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই ফুল মেলা। মেলা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ফ্যাশন শো, গোলটেবিল বৈঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
পরে প্রধান অতিথি স্টলগুলো ঘুরেও দেখেন এবং ফুলচাষীদের উদ্যোগে দেশী ফুল ডট কম নামে একটি অনলাইনের উদ্বোধন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অর্থকারী ফসল ফুলের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে

আপডেট টাইম : ১০:৫০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ ২০১৬

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পর অর্থকারী ফসল হিসেবে ফুলের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। বর্তমানে ফুল সৌখিনতার বিষয় নয়। ফুলের ব্যবহার বেড়েছে। ফুলের সুবাস বাড়াতে গবেষণার প্রয়োজন।’

তিনি মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে দুইদিনব্যাপী প্রথমবারের মতো ফুল মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির (বিএফএস) সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ, ইউএসএআইডির বাংলাদেশ ফিড দ্যা ফিউচার টিম লিডার মার্ক টেজেনফিল্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইমামুল হক।

ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাস নিশ্চিত করতে গবেষণার প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্কিডসহ বিভিন্ন ফুলের বানিজ্যিক চাহিদা থাকা সত্বেও তা সেভাবে বাজারমূল্য পাচ্ছে না। ফুলের সুবাস কিভাবে স্থায়ী করা যায় তা নিয়ে গবেষণার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে আরও গবেষণা করতে হবে।’

কৃষিমন্ত্রী ফুল সেক্টরকে আরও টেকসই, শক্তিশালীকরণ ও রপ্তানীযোগ্য করতে ফুলচাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে সরকারী ও বেসরকারি উদ্যোগের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ফসলি জমির আইলে মৌসুমি সবজি চাষ করা হয়, একই প্রক্রিয়ায় ফুল চাষ করলে কৃষক আরও উপকৃত হবে।’

অনুষ্ঠানে ‘ফুল চাষের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির উপদেষ্টা ড. গয়ানাথ সরকার। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি সভাপতি আবদুর রহিম জানান, বৎসরে ২০১৪-২০১৫ সালে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ফুল উৎপাদন করেছে। বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ফুল দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। ১৯৮৩ সালের পরই দেশে ঝিকরগাছার পানসারা গ্রামে ৩০ শতক জমিতে বাণিজ্যিক ফুলের চাষ শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার কৃষক সরাসরি ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত।

মেলায় স্টলের সংখ্যা রয়েছে ২০টি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ফুল চাষি ও বাজারজাতকারীরা মিলনায়তনের গোলাপ, গাঁদা, গ্লাইকোডিয়া, জারবেরা, অর্কিড, রজনীগন্ধাসহ নানারকম রকম ফুলের সমাহার নিয়ে বসেছে এই প্রদর্শনী।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই ফুল মেলা। মেলা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে ফ্যাশন শো, গোলটেবিল বৈঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
পরে প্রধান অতিথি স্টলগুলো ঘুরেও দেখেন এবং ফুলচাষীদের উদ্যোগে দেশী ফুল ডট কম নামে একটি অনলাইনের উদ্বোধন করেন।