ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসল স্বাধীনতা ২০১৪ সালে’, কঙ্গনার মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১
  • ১৪৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে সখ্যতা বা সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অভিনেত্রী কঙ্গনার ‘ভক্তি’ কারও অজানা নয়! সেই কঙ্গনার পদ্মশ্রী পাওয়ার পর ভ্রুঁ কুঁচকেছেন অনেকে।

কঙ্গনা আরও একবার বিতর্কে নাম জড়ালেন। তিনি দাবি করেছেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা নয় ভিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে। কঙ্গনার এ ধরনের মন্তব্য ‘দেশদ্রোহ’ বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী।

এক টুইট বার্তায় বরুণ লিখেছেন, কখনও মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগ ও তপস্যার অপমান, কখনও তার হত্যাকারীর সম্মান করা হচ্ছে। শহিদ মঙ্গল পাণ্ডেকে নিয়ে রানি লক্ষ্মীবাই, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এবং স্বাধীনতার লাখ লাখ সেনানিদের আত্মত্যাগের তিরস্কার করা হয়েছে। এই ধরনের মনোভাবকে পাগলামি বলব না দেশদ্রোহ?

বিজেপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বারবার বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। তাকে নিষিদ্ধ করেছে টুইটার। নানা বিতর্কের মাঝেও অবস্থান বদল করেননি কঙ্গনা।

সদ্য তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার হাতিয়ে নিয়েছেন। তার পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে অনেকে মনে করছেন, মোদি সরকারের গুণগান গাওয়ার জন্য এই ‘উপহার’। এবার কঙ্গনাকে বলতে শোনা গেছে, ওটা স্বাধীনতা নয়, ভিক্ষা ছিল। আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোদি প্রশাসনকে তুষ্ট করার জন্যই এ ধরনের উদ্ভট মন্তব্য করছেন কঙ্গনা। সমালোচকরা বলছেন, প্রকাশ্যে চাটুকারিতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন কঙ্গনা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আসল স্বাধীনতা ২০১৪ সালে’, কঙ্গনার মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

আপডেট টাইম : ১০:১৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে সখ্যতা বা সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অভিনেত্রী কঙ্গনার ‘ভক্তি’ কারও অজানা নয়! সেই কঙ্গনার পদ্মশ্রী পাওয়ার পর ভ্রুঁ কুঁচকেছেন অনেকে।

কঙ্গনা আরও একবার বিতর্কে নাম জড়ালেন। তিনি দাবি করেছেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা নয় ভিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে। কঙ্গনার এ ধরনের মন্তব্য ‘দেশদ্রোহ’ বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী।

এক টুইট বার্তায় বরুণ লিখেছেন, কখনও মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগ ও তপস্যার অপমান, কখনও তার হত্যাকারীর সম্মান করা হচ্ছে। শহিদ মঙ্গল পাণ্ডেকে নিয়ে রানি লক্ষ্মীবাই, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এবং স্বাধীনতার লাখ লাখ সেনানিদের আত্মত্যাগের তিরস্কার করা হয়েছে। এই ধরনের মনোভাবকে পাগলামি বলব না দেশদ্রোহ?

বিজেপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বারবার বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। তাকে নিষিদ্ধ করেছে টুইটার। নানা বিতর্কের মাঝেও অবস্থান বদল করেননি কঙ্গনা।

সদ্য তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার হাতিয়ে নিয়েছেন। তার পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে অনেকে মনে করছেন, মোদি সরকারের গুণগান গাওয়ার জন্য এই ‘উপহার’। এবার কঙ্গনাকে বলতে শোনা গেছে, ওটা স্বাধীনতা নয়, ভিক্ষা ছিল। আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোদি প্রশাসনকে তুষ্ট করার জন্যই এ ধরনের উদ্ভট মন্তব্য করছেন কঙ্গনা। সমালোচকরা বলছেন, প্রকাশ্যে চাটুকারিতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন কঙ্গনা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।