হাওর বার্তা ডেস্কঃ জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিল মাত্র ৪২০ গ্রাম। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পৃথিবীর আলো দেখে সে। সাধারণত ৩৯ সপ্তাহ গর্ভে থাকার পর মানবশিশুর জন্ম হয়। তবে গর্ভধারণের ২১ সপ্তাহ একদিনে জন্ম নেওয়া এই শিশুটি ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রিম্যাচিউর’ শিশু হিসেবে করে ঠাঁই নিয়েছে গিনেস বুকে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা জন্মগ্রহণ করে কার্টিস জাই-কিথ মিনস।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্টিসের মা মিশেল চেলি বাটলার্সের শুরুতে গর্ভকালীন কোনো জটিলতা ছিল না। কিন্তু গত বছরের ৪ জুলাই গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
১১ নভেম্বর চেলির সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৯ সপ্তাহ আগে ৫ জুলাই তার সন্তানের জন্ম হয়।
চিকিৎসকরা কার্টিসের ব্যাপারে মোটেও আশাবাদী ছিলেন না। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে কার্টিস চিকিৎসায় দারুণ সাড়া দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার চমৎকার শারীরিক বৃদ্ধিও হতে থাকে।
২৭৫ দিন হাসপাতালে থাকার পর চলতি বছরের ৬ এপ্রিল কার্টিসকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেন চিকিৎসকরা। চলতি বছরের ৫ জুলাই প্রথম জন্মদিনে বেঁচে থাকা ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রিম্যাচিউর’ শিশুর খেতাব পায় কার্টিস।
এর আগে ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রিম্যাচিউর’ শিশু হিসেবে গিনেস বুকে ঠাঁই পেয়েছিল কার্টিসের ঠিক এক মাস আগে ২০২০ সালের ৫ জুন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে জন্ম নেওয়া রিচার্ড হাচিনসন। গর্ভ ধারণের ২১ সপ্তাহ ২ দিনে জন্ম হয় তার।