ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশে অবদান রাখার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর আহ্বান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
  • ২২৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশের ন্যায় বাংলাদেশে অবদান রাখার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ফেসবুকও লাভবান হবে। তিনি ফেসবুককে বাংলাদেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি কর্তৃক মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সট-এর মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ফেসবুকের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হেড অভ্ কানেক্টিভিটি টম সি. ভার্গিস , টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রহমান এবং বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অফিসার তৈমুর রহমান বক্তৃতা করেন। বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ অনুষ্ঠানে মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন।

মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সট-এর মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ এর উদ্বোধনের মাধ্যমে ডিজিটাল সংযোগ বিকাশে আমরা ত্রিমাত্রিক মাইল ফলক অর্জন করেছি। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর বলে উল্লেখ করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার মোবাইল অপারেটরসহ ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বস্তুতপক্ষে জনগণকে যদি সেবা দিই তবে তাদের প্রয়োজনের প্রতি নজর রাখতে হবে। অন্যথায় কোনো প্রতিষ্ঠানই বিকশিত হতে পারবে না। অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে না পারলে দায়িত্ব পালনও সঠিক হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, করোনাকালে টেলকো কোনোভাবেই সেবাকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেনি তারা দেখেছে দেশ ও জাতির স্বার্থ। তিনি মোবাইলে বাংলা ভাষায় এসএমএস প্রবর্তনকে একটি ঐতিহাসিক কাজ বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলা ভাষার জনগণের সাথে জনগণের ভাষায় কথা বলতে চাই। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে তা করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলায় এসএমএস-এর মূল্য অর্ধেকে নির্ধারণ করার কথা তিনি জানান। তিনি ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসের সাইড লাইনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে তার ফলপ্রসূ বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দিক থেকে বিশ্বের দশম দেশ, গত তিন চার বছর আগেও তা ছিল না। ফেসবুকের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তারা এখন আমাদের প্রতি অনেক সহযোগিতামূলক আচরণ করছে।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ডিজিটাল বাংলাদেশ অগ্রযাত্রায় কানেক্টিভিটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, বিটিআরসি কেবল নিয়ন্ত্রক হিসেবে নয় – সেবার সুযোগ তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের সাথে সব সময়ই থাকবে।

পরে মন্ত্রী সুইচ টিপে অ্যাপ-এর উদ্বোধন করেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশে অবদান রাখার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর আহ্বান

আপডেট টাইম : ০৯:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশের ন্যায় বাংলাদেশে অবদান রাখার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ফেসবুকও লাভবান হবে। তিনি ফেসবুককে বাংলাদেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি কর্তৃক মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সট-এর মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ফেসবুকের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হেড অভ্ কানেক্টিভিটি টম সি. ভার্গিস , টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রহমান এবং বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অফিসার তৈমুর রহমান বক্তৃতা করেন। বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ অনুষ্ঠানে মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন।

মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকা এবং টেক্সট-এর মাধ্যমে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ডিসকভার অ্যাপ এর উদ্বোধনের মাধ্যমে ডিজিটাল সংযোগ বিকাশে আমরা ত্রিমাত্রিক মাইল ফলক অর্জন করেছি। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর বলে উল্লেখ করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার মোবাইল অপারেটরসহ ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বস্তুতপক্ষে জনগণকে যদি সেবা দিই তবে তাদের প্রয়োজনের প্রতি নজর রাখতে হবে। অন্যথায় কোনো প্রতিষ্ঠানই বিকশিত হতে পারবে না। অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে না পারলে দায়িত্ব পালনও সঠিক হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, করোনাকালে টেলকো কোনোভাবেই সেবাকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেনি তারা দেখেছে দেশ ও জাতির স্বার্থ। তিনি মোবাইলে বাংলা ভাষায় এসএমএস প্রবর্তনকে একটি ঐতিহাসিক কাজ বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলা ভাষার জনগণের সাথে জনগণের ভাষায় কথা বলতে চাই। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে তা করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলায় এসএমএস-এর মূল্য অর্ধেকে নির্ধারণ করার কথা তিনি জানান। তিনি ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসের সাইড লাইনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে তার ফলপ্রসূ বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দিক থেকে বিশ্বের দশম দেশ, গত তিন চার বছর আগেও তা ছিল না। ফেসবুকের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তারা এখন আমাদের প্রতি অনেক সহযোগিতামূলক আচরণ করছে।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ডিজিটাল বাংলাদেশ অগ্রযাত্রায় কানেক্টিভিটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, বিটিআরসি কেবল নিয়ন্ত্রক হিসেবে নয় – সেবার সুযোগ তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের সাথে সব সময়ই থাকবে।

পরে মন্ত্রী সুইচ টিপে অ্যাপ-এর উদ্বোধন করেন।