হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকালীন একটি জনপ্রিয় সবজি হচ্ছে গাজর। যদিও গাজর এখন বছরের অন্যান্য সময়েও পাওয়া যায়। তবে শীতে এর প্রাপ্তি সহজ। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই গাজর শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, গুণেও পরিপূর্ণ। আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় গাজর দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই অনেকেই ডায়েটে গাজর রাখেন। এছাড়াও কমলা রঙের এ সবজিতে আছে বিটা ক্যারোটিন, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
তবে গাজর মানেই, তার সব কিছু ভালো- এমন নাও হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত পরিমাণে গাজর খেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা সব সময়েই পরিমিত গাজর খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ অতিরিক্ত গাজর কয়েকটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিভাগের জার্নালেও গবেষকরা শরীরের উপর গাজরের কুপ্রভাব সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য তুলে ধরেছেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী কী-
যেসব মা সন্তানদের স্তন্যপান করান, তারা বেশি মাত্রায় গাজর খেলে দুধের স্বাদ বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের সন্তানদের অসুবিধা হতে পারে।
ছোট বয়সে শিশুদের বেশি পরিমাণে গাজর খাওয়ালে তাদের ত্বকের রং হলুদ হয়ে যায়। তবে এটি সাময়িক সমস্যা। এছাড়াও শিশুদের দাঁতের ক্ষয় হতে পারে অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে।
গাজরের কেন্দ্রে যে হলুদ অংশটি থাকে, তার বেশ কিছু উপাদান পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত গাজর খেলে পেটব্যথা বা পেটের গণ্ডগোলের মতো সমস্যা দেখা দেওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়।
অতিরিক্ত গাজর খেলে ঘুম কমে যেতে পারে। এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। সর্বাধিক কতটা গাজর খাওয়া উচিত, তা নির্ভর করে শরীরের ওজনের উপর। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই পরিমাপটি ঠিক করা উচিত।
গাজর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে- এ কথা সত্যি। পাশাপাশি এটাও দেখা গিয়েছে, বেশি মাত্রায় গাজর খেলে অন্ত্রে অতিরিক্ত বিটা ক্যারোটিন জমা হয়। খুব বিরল হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে তা অন্ত্রের ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।