ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুমাবারের ফজিলত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • ১৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ দিন শুক্রবার বা জুমাবার। জুমা অর্থ সমাবেশ, সম্মেলন, একত্রিত হওয়া। এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষ্যে মসজিদে একত্রিত হয় বলে দিনটাকে ‘ইয়াওমুল জুমআ’ বা জুমার দিন বলা হয়।

শুক্রবারের দিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ ও ইমামের খুতবাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। সপ্তাহের এ দিনে জুমার খতিব উম্মতের সব ধরনের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কুরআন ও হাদিসের আলোকে নির্দেশনা ও সমাধানমূলক উপদেশ দেন।

নবি করিম (সা.) মদিনা আসার পর জুমা ফরজ হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রথম জুমা পড়েছিলেন মদিনার কুবা মসজিদে ও মসজিদে নববির মধ্যবর্তী ‘বনু সালেম ইবনে আউস’ গোত্রে। বর্তমানে এ জায়গায় নির্মিত মসজিদটির নাম ‘মসজিদে জুমা’। এরপর তিনি মসজিদে নববিতে জুমা আদায় শুরু করেন। (বুখারি : ৮৯২)।

নবি করিম (সা.) বলেন, ‘যার ওপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে হজরত আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে।’ (মুসলিম ৮৫৪)।

নবি করিম (সা.) বলেন, যে জুমার দিন গোসল করে, এরপর তার পোশাক পরিধান করে, তার কাছে সুগন্ধি থাকলে তা ব্যবহার করে, এরপর ধীরস্থিরভাবে জুমার দিকে যায়, কাউকে ডিঙ্গিয়ে (সামনে) যাওয়া থেকে বিরত থাকে, কাউকে কষ্ট দেয় না, তাওফিক মতো রুকু (নামাজ আদায়) করে, এরপর ইমাম নামাজ সমাপ্ত করা পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার দুই জুমার মাঝে যা (গুনাহ) হয়েছে, তা মাফ করে দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ ৫/১৯৮)।

অতএব, এ দিন আমাদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ নিজের পাপগুলো ধুয়ে-মুছে সাফ করার। বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োগ রেখে সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে ইবাদতের আগ্রহ বাড়ানোর এই এক মহাসুযোগ। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে জুমার দিনের পরিপূর্ণ ফলাফল হাসিলের ও সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে তার হুকুম মতো চলার তৌফিক দান করুন। আমিন

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জুমাবারের ফজিলত

আপডেট টাইম : ১০:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ দিন শুক্রবার বা জুমাবার। জুমা অর্থ সমাবেশ, সম্মেলন, একত্রিত হওয়া। এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষ্যে মসজিদে একত্রিত হয় বলে দিনটাকে ‘ইয়াওমুল জুমআ’ বা জুমার দিন বলা হয়।

শুক্রবারের দিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ ও ইমামের খুতবাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। সপ্তাহের এ দিনে জুমার খতিব উম্মতের সব ধরনের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কুরআন ও হাদিসের আলোকে নির্দেশনা ও সমাধানমূলক উপদেশ দেন।

নবি করিম (সা.) মদিনা আসার পর জুমা ফরজ হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রথম জুমা পড়েছিলেন মদিনার কুবা মসজিদে ও মসজিদে নববির মধ্যবর্তী ‘বনু সালেম ইবনে আউস’ গোত্রে। বর্তমানে এ জায়গায় নির্মিত মসজিদটির নাম ‘মসজিদে জুমা’। এরপর তিনি মসজিদে নববিতে জুমা আদায় শুরু করেন। (বুখারি : ৮৯২)।

নবি করিম (সা.) বলেন, ‘যার ওপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে হজরত আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে।’ (মুসলিম ৮৫৪)।

নবি করিম (সা.) বলেন, যে জুমার দিন গোসল করে, এরপর তার পোশাক পরিধান করে, তার কাছে সুগন্ধি থাকলে তা ব্যবহার করে, এরপর ধীরস্থিরভাবে জুমার দিকে যায়, কাউকে ডিঙ্গিয়ে (সামনে) যাওয়া থেকে বিরত থাকে, কাউকে কষ্ট দেয় না, তাওফিক মতো রুকু (নামাজ আদায়) করে, এরপর ইমাম নামাজ সমাপ্ত করা পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার দুই জুমার মাঝে যা (গুনাহ) হয়েছে, তা মাফ করে দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ ৫/১৯৮)।

অতএব, এ দিন আমাদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ নিজের পাপগুলো ধুয়ে-মুছে সাফ করার। বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োগ রেখে সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে ইবাদতের আগ্রহ বাড়ানোর এই এক মহাসুযোগ। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে জুমার দিনের পরিপূর্ণ ফলাফল হাসিলের ও সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে তার হুকুম মতো চলার তৌফিক দান করুন। আমিন