ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১
  • ১৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে দেশবাসীসহ মুসলিম উন্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন।

মহান আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মূনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে।”

তিনি বলেন, তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। আল্লাহর প্রতি অতুলনীয় আনুগত্য, অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।

এ জন্য পবিত্র কোরআনে তাঁর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র  কোরআন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অপর্ণ করেন। নানা প্রতিকুলতা সত্ত্বেও অসীম  ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সারাবিশ্বে এ মহাগ্রন্থের মর্মার্থ ছড়িয়ে দেন। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিদায় হজের ভাষণ মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারি হয়ে থাকবে।’

বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবী (সাঃ) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সাঃ) এর সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন। আমীন।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা

আপডেট টাইম : ১১:২১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে দেশবাসীসহ মুসলিম উন্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন।

মহান আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মূনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে।”

তিনি বলেন, তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। আল্লাহর প্রতি অতুলনীয় আনুগত্য, অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।

এ জন্য পবিত্র কোরআনে তাঁর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র  কোরআন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অপর্ণ করেন। নানা প্রতিকুলতা সত্ত্বেও অসীম  ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সারাবিশ্বে এ মহাগ্রন্থের মর্মার্থ ছড়িয়ে দেন। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিদায় হজের ভাষণ মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারি হয়ে থাকবে।’

বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবী (সাঃ) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সাঃ) এর সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন। আমীন।’