হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চান দেশটির সাধারণ জনগণ। এজন্য বড় শহর গুলিতে বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার ডাউনটাউন শহরের মধ্যদিয়ে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা বলেন কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বর্তমান প্রেসিডেন্টের কোনও পদক্ষেপই কাজে দেয়নি।
সরকারের অদূরদর্শীতার কারণেই করোনাভাইরাসে প্রাণ গেছে ব্রাজিলের প্রায় ছয় লক্ষ মানুষের। যা দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির অর্থনীতিতে ব্যপক প্রভাব ফেলেছে বলেও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় বিক্ষোভকারী জনতার সাথে সূর মেলান ব্রাজিলের ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টির সভাপতি কার্লোস লুপি। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর জায়গা এখন কারাগারে।”
দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির একজন সদস্য বলেন, “কোভিডে এতো মানুষের মৃত্যুর পর আমরা আর থেমে থাকতে পারিনা। এখন সময় প্রতিবাদের।”
আন্দোলনকারীদের মিছিল এক পর্যায়ে দেশটির ঐতিহাসিক দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর রিও পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
শিল্পী বন্ধুদের সাথে এই আন্দোলনে যোগ দিতে এসছিলেন রেনাতো বেজেরা ডি মেলো নামের আরেক নাগরিক। গায়ে হলুদ-সবুজ ব্রাজিলের পতাকা জড়িয়ে থাকা রেনাতো বলেন, “আমরা আমাদের দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে অনুভব করছি তাই আন্দোলনে এসেছি।”
ব্রাজিলের ৫৮ শতাংশ মানুষ এখন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর বিপক্ষে বলেও মন্তব্য করে আন্দোলনরত এই শিল্পী গোষ্ঠী।
৬৩ বছর বয়সী আরেক আন্দোলনকারী ক্ষোভের সাথে জানান, “প্রেসিডেন্ট রাইফেলের উপর কর কমিয়েছে কিন্তু মৌলিক চাহিদা খাবারে নয়। আমরা রাইফেল নয়, খাবার চাই।”
ব্রাজিলের ১৬০ টির বেশি শহরে চলছে এই বিক্ষোভ। দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের যখন আর বছর বাকি ঠিক তখনই এই আন্দোলনের শুরু। এবং আই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিরোধী দল ও ট্রেড ইউনিয়ন।