হাওর বার্তা ডেস্কঃ পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিশ্ব নেতারা জলবায়ু সম্মেলনে বসার ঠিক তিন সপ্তাহ আগে নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন কে বা কারা।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা তৈরির জন্য নাকি জলবায়ু পরিবর্তনরোধে বৈশ্বিক পর্যায়ে কাজের জন্য গ্রেটা থুনবার্গকে নোবেল দেওয়া হবে, এমন জল্পনাকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে রাজনৈতিক মর্যাদাসম্পন্ন এই পুরস্কার কে পাচ্ছেন? তা জানা যাবে আগামী ৮ অক্টোবর। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় সবাইকে অবাক করে দিয়ে এ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন কেউ। বিষয়টি যারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা বলছেন, এটা অনুমান করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে; বৈশ্বিক সেইসব ইস্যুর দিকে নজর রাখা, যা নোবেল কমিটির ৫ সদস্যের মনে রেখাপাত করতে পারে।
আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় কপ ২৬ জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পেতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই সম্মেলনকে আগামী দশকে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমণের একটি সীমা বেঁধে দেওয়ার শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার যদি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ধরে রাখা যায়, তবেই কেবল তারা বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানোর আশা দেখছেন।
রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের জন্য এটাই হয়ে উঠতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৮ বছর বয়সে নোবেল জিতে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাইয়ের পর তিনিই হতে পারেন এ পুরস্কার পাওয়া দ্বিতীয় কম বয়সী ব্যক্তি। ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর পরিচালক ড্যান স্মিথ বলেন, ‘নোবেল কমিটি বেশিরভাগ সময়ই একটি বার্তা দিতে চায়। এর মাধ্যমে কপ ২৬ সম্মেলনকে খুব জোরালো বার্তা দেওয়া হবে, যেটা এই পুরস্কার ঘোষণা এবং অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঘটবে।’ তবে এটাও ঠিক, বিশ্ব এখন এক ভয়াবহ মহামারীর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত করোনায় বিশ্বে অর্ধ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু ঠেকাতে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভ্যাকসিন। ফলে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও নোবেল কমিটির চিন্তায় থাকতে পারে।
এছাড়া বড় আরেকটি বিষয়কে সামনে আনতে পারে কমিটি, সেটা হলো গণতন্ত্র এবং বাক স্বাধীনতা। যে কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ কিংবা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর মতো কোনো সংগঠনকে পুরস্কার দেওয়া হতে পারে। রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে এ তালিকায় থাকবেন বেলারুসের নির্বাসিত বিরোধী নেতা সভিয়াৎলানা তিকানোস্কায়া কিংবা রাশিয়ার কারাবন্দি বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি।