হাওর বার্তা ডেস্কঃ নদী হলো জীবন্তসত্ত্বা, একে প্রাণ ফিরিয়ে দাও”মানুষের জন্য নদী”এই স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে বিশ্ব নদী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২৭ই সেপ্টেম্বর) গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন নরসুন্দার পাড় (মুক্তমঞ্চ) চত্বরে পরম ও বাপার আয়োজনে কর্মসুচী পালন করা হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষা মঞ্চ পরমের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদীর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সঞ্চালনায় বক্তব্য পৌরমহিলা কলেজের প্রভাষক বৃক্ষ প্রেমিক আলমগীর হোসেন ,ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শহিদুল ইসলাম,উদ্ভিদ ও বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রাজু আহমেদ পিয়েল,মনির হোসেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চারুকলা শেষ বর্ষের ছাত্রিএবি নূর ,ওয়ালীনেওয়াজ কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রসাজ্জাদুল ইসলাম সাকিব,বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার (প্রত্নতত্ত্ব) উপকমিটির সদস্য সচিব মো: ফারুকুজ্জামান,নিরাপদ সড়ক চাই জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার পরিবহন ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য সচিব শফিক প্রমুখ।
পরিবেশ রক্ষা মঞ্চ পরমের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ বক্তবে বলেন নদী আমার মা,মানুষের জন্য নদী,সেই নদীকে দখনমুক্ত ,দুষনমুক্ত করতে হবে।
নরসুন্দা নদীকে প্রবাহ সৃষ্টির জন্য বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, ব্রহ্মপুত্রের শাখা নরসুন্দা হোসেনপুরের চরজামাইল কাউনা দিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের বুক চিরে প্রবাহিত হয়ে ধনু নদীতে গিয়ে মিলেছে মৃতপ্রায় নরসুন্দা নদীটি। ৮০ দশকের শুরুতে কাউনায় অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করে নরসুন্দা নদীর প্রাণপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে নরসুন্দা নদী কে হত্যা করা হয়। যার ফলে শুকনো মৌসুমে এখন নরসুন্দায় পানি নেই ভরা মৌসুমে নেই প্রবাহ, ফলে নরসুন্দা নদী পরিণত হয়েছে নোংরা, ময়লা ও আবর্জনার ভাগাড়ে। তাই বাপা ও পরমের পক্ষ থেকে কাউনার বাঁধ খুলে মূল ব্রহ্মপুত্র থেকে খাল কেটে নরসুন্দার উৎসমুখে সংযোগ করা, নদীর সীমানা নির্ধারণ করে সঠিক পিলার স্থাপন করা, নরসুন্দার খনন কাজে সংগঠিত দুর্নীতির তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিচারের আওতায় আনা ও সম্পূর্ণ নদী পুণ-খননের দাবী সহ যারা ময়লা আবর্জনা ফেলে নোংরা নরসুন্দাকে দুষণ করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোরালোদাবি উত্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েলের
এ সময় বাপা ও পরমের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।