হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে দলীয় কর্মপন্থা ঠিক করতে মঙ্গলবার থেকে দলের নেতাদের সঙ্গে আবারও ধারাবাহিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি হাইকমান্ড। এই বৈঠকগুলোতে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি অথবা আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক অথবা সদস্য সচিবদের মতামত নেওয়া হবে।
আগামী ২১,২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদক ও সহসম্পাদক এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মতামত নেয় দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম। তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠকে মোট ২৮৬ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ১১৮ জন নেতা বক্তব্য দেন। জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকেও এই কর্মপন্থা নিয়ে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক ৮১ জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক কমিটি হলে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের মতামত নেওয়া হবে। এরই মধ্যে যারা সিরিজ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, আজ বিকাল ৩ টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এদিকে, গত শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সময়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলের বিশেষ সম্পাদক আবু নাসের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমনও। জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন দিনের সিরিজ বৈঠকের বিস্তারিত অবহিত করেছেন বেগম খালেদা জিয়াকে।
গতকাল শনিবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়ে একমত হয়েছেন নেতারা। এ বৈঠকের পর বিভিন্ন পেশাজীবীসহ নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া ৪২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বসার বিষয়েও কয়েকজন নেতা মত দিয়েছেন। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা বিগত তিনটি ধারাবাহিক বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন। এসব বৈঠকে নেতাদের উপস্থাপিত বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে তারা তাদের কর্মপরিকল্পনা করার বিষয়ে একমত হন। আগামী আন্দোলনকে সামনে রেখে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়েও তারা একমত হন। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে তারা যোগাযোগ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।