যৌনপল্লীতে সংশ্লিষ্টতা অভিযোগে যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউপির যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জুলহাস মোল্লাকে (৪০) যুবলীগের দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যৌনপল্লীতে সংশ্লিষ্টতা, পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ইউনুস হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সালু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ ইতোপূর্বে জুলহাস মোল্লার প্রতি অনাস্থা এনেছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগ এক জরুরি সিদ্ধান্তে তাকে তার দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।

এ প্রসঙ্গে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মোল্লা দাবি করেন, বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি কোনো পত্র পাননি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে তাকে কোনো শোকজও করা হয়নি। বহিষ্কার অগঠনতান্ত্রিকভাবে করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সদস্য মো. ইউনুছ মোল্লা বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের ভিশন বাস্তবায়নে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের অনাস্থা, চাঁদাবাজি, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মো. জুলহাস মোল্লাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে দৌলতদিয়া ঘাটে পণ্যবাহী বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে তার নিজস্ব বাড়ি থাকা, নিয়মিত মাদক গ্রহণসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের যথাযথ প্রমাণও আমাদের কাছে রয়েছে। এসব বিষয়ে আমি তাকে ইতোপূর্বে অনেকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু তাতে সে কোনো কর্ণপাত করেনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর