ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৫৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নোয়াখালীর বসুরহাটে ২৩ মামলার আসামি মো. শহিদুল্যা রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল (২৯) এবং কোম্পানীগঞ্জের পাঁচ মামলার আসামি মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ওরফে শাহীন চৌধুরীকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতার কেচ্ছা রাসেল বসুরহাট উপজেলার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে পুলিশ একটি এলজি, একটি পাইপ গান এবং তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সে বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মো. সফি উল্যাহ’র ছেলে। পাশাপাশি গ্রেফতার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান ও জেলা ডিবির ওসি মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার লোহারপোল থেকে ছদ্মবেশে থাকা কেচ্ছা রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার শপিং ব্যাগে থাকা একটি এলজি, একটি পাইপ গান এবং তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ আক্রান্ত ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৫টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২টি, ডাকাতির তিনটি, চুরির একটিসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মো. শহিদুল্যা রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল একজন সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা থাকার পরও বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন না নিয়ে পলাতক অবস্থায় সে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী হয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ত্রাস সৃষ্টি, চুরি, ডাকাতি, পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের আইনানুগ এবং নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জনান, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাইফউদ্দিন আনোয়ার ও এসআই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিবাগত রাত রাত পৌনে ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ওরফে শাহীন চৌধুরীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে তিনটি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুইটি মামলা রয়েছে। চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী তার জনসমর্থন, প্রভাব প্রতিপত্তি, অর্থ যোগান দিয়ে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের পক্ষে কাজ করে আসছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০২:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নোয়াখালীর বসুরহাটে ২৩ মামলার আসামি মো. শহিদুল্যা রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল (২৯) এবং কোম্পানীগঞ্জের পাঁচ মামলার আসামি মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ওরফে শাহীন চৌধুরীকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতার কেচ্ছা রাসেল বসুরহাট উপজেলার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে পুলিশ একটি এলজি, একটি পাইপ গান এবং তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সে বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মো. সফি উল্যাহ’র ছেলে। পাশাপাশি গ্রেফতার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান ও জেলা ডিবির ওসি মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার লোহারপোল থেকে ছদ্মবেশে থাকা কেচ্ছা রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার শপিং ব্যাগে থাকা একটি এলজি, একটি পাইপ গান এবং তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ আক্রান্ত ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৫টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২টি, ডাকাতির তিনটি, চুরির একটিসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মো. শহিদুল্যা রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল একজন সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা থাকার পরও বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন না নিয়ে পলাতক অবস্থায় সে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী হয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ত্রাস সৃষ্টি, চুরি, ডাকাতি, পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের আইনানুগ এবং নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জনান, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাইফউদ্দিন আনোয়ার ও এসআই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিবাগত রাত রাত পৌনে ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ওরফে শাহীন চৌধুরীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে তিনটি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুইটি মামলা রয়েছে। চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী তার জনসমর্থন, প্রভাব প্রতিপত্তি, অর্থ যোগান দিয়ে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের পক্ষে কাজ করে আসছে।