সুদের টাকা না দেওয়ায় কান ছিঁড়ে নিলেন দাদন ব্যবসায়ী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় সুদের টাকা দিতে না পারায় গৃহবধূকে মারধরের পর তার স্বামী এনামুল হকের কান ইট দিয়ে থেঁতলে ও কানের কিছু অংশ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনায় আহত এনামুল হকের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

আহত একরামুল হক বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্তরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর তালতলা এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে মো. মজনু মিয়া, শ্মশানকান্দি এলাকার বুবু মিয়ার ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম, রামচন্দ্রপুর এলাকার মো. ওয়াজেদ আলীর ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. শাফি, মৃত আফছার ইলীর ছেলে মো. আজিজার রহমান।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক এনামুলের স্ত্রী নাজমা বেগম প্রায় তিন মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় তার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হলে নিজের সোনার দুল (আট আনা ওজনের একজোড়া) অভিযুক্ত মজনুর কাছে বন্ধক রেখে ২০ হাজার টাকা নেন নাজমা। এজন্য প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা সুদ নিতেন দাদন ব্যবসায়ী মজনু। কিন্তু গত তিন সপ্তাহ ধরে সুদের টাকা দিতে পারছিলেন না নাজমা। স্বামী এনামুল অন্যের গাড়ি ভাড়ায় চালিয়ে যা পায় তাই দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে তাদের। তাই সুদের টাকা দিতে হিমসিম খাচ্ছিলেন তিনি।

এর সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্তরা লাঠিসোটা নিয়ে নাজমার বাড়িতে এসে গালিগালাজ করতে থাকেন এবং নাজমাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এ সময় এনামুল এগিয়ে এলে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে এনামুল মাটিতে পড়ে গেলে ইট দিয়ে তার কান থেঁতলে দিয়ে কানের কিছু অংশ ছিঁড়ে ফেলেন অভিযুক্তরা।

শাজাহানপুর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর