হাওর বার্তা ডেস্কঃ এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তি সার্কুলারের সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। কিন্তু প্রথম বারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদন পড়েছে অনেক কম। এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন খোদ উপাচার্যরা। এমনকি তারা হতাশও হয়েছেন।
প্রথম বারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। এতে একটি আবেদন করলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পছন্দের অপশনও থাকবে। প্রথম ধাপে বিনা মূল্যে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে উত্তীর্ণদের জন্য প্রথমে ৬০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আবেদন কম পড়ায় এটি এখন ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে।
ভর্তি সার্কুলারে এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম ৮, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৭.৫০ ও মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭ থাকার শর্ত ছিল। এবার এইচএসসিতে সবাই উত্তীর্ণ হয়। সে হিসাবে ১৩ লাখ ৬৪ হাজার পাশ করলেও এই ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ত অনুযায়ী ৮ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর আবেদনের সুযোগ ছিল। কিন্তু ২৩ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। আসন বেশি থাকার পরও কম আবেদন কেন—এটাই বিস্ময়ের কারণ। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা ৬ হাজার হলেও এবার আবেদন পড়েছে ২ লাখ। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর জানান, প্রাথমিক আবেদনে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। আশা করেছিলাম ৭/৮ লাখ আবেদন পড়বে। কিন্তু এত কম আবেদন পড়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বেশি শিক্ষার্থীকে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার জন্য জিপিএ কমানো হয়েছিল। কিন্তু সেভাবে আবেদন পড়েনি। কেন আবেদন কম পড়েছে সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৩টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৮৮৯ আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া দ্বিতীয়বারের মতো কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবার। এবার ৮০ হাজার ৯৩৩ জন প্রাথমিক আবেদন করে। সিট সংখ্যার ১০ গুণ অর্থাত্ ৩৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়েছে; যারা দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এই ৭ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।