ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, স্কুল মাঠেই ধান চাষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:১১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • ১৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের চন্দন চহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় খেলার মাঠে ধান চাষ করা হয়েছে। এতে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে সহায়তা করছেন, অত্র মাদ্রাসার সুপার। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

সম্প্রতি করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে রোপণ করা হয়েছে ধান চাষ। যাতে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে সহায়তা করছেন মাদ্রাসার সুপার মমতাজ আলী। জড়িত রয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিও।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর এক অভিভাবক বলেন, দেড় বছর যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। আর সেই সুযোগে মাদ্রাসার মাঠে ধান চাষ করা কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি। এতে মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।

চন্দন চহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার অভিযুক্ত সুপার মমতাজ আলী জানান, ১৯৯৫ সালে আমরা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদ্রাসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারি না। অফিস সহকারি অনুরোধে করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ধান চাষের অনুমতি দিয়েছি। তাছাড়া মাদ্রাসার বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা তো করে না।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে ধান রোপণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা যেহেতু এমপিও ভুক্ত হয়নি। করোনার জন্য বন্ধও রয়েছে। তাই ফেলে না রেখে অফিস কর্মচারী ধান রোপণ করেছেন এতে সমস্যা তো দেখছি না।

 

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠে ধান চাষ করার কোনো বিধান নেই। মাঠটি খেলার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারকে ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, স্কুল মাঠেই ধান চাষ

আপডেট টাইম : ০২:১১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের চন্দন চহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় খেলার মাঠে ধান চাষ করা হয়েছে। এতে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে সহায়তা করছেন, অত্র মাদ্রাসার সুপার। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

সম্প্রতি করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে রোপণ করা হয়েছে ধান চাষ। যাতে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ। অভিযোগ উঠেছে, এ কাজে সহায়তা করছেন মাদ্রাসার সুপার মমতাজ আলী। জড়িত রয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিও।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর এক অভিভাবক বলেন, দেড় বছর যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। আর সেই সুযোগে মাদ্রাসার মাঠে ধান চাষ করা কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি। এতে মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।

চন্দন চহট আলহাজ ইমারউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার অভিযুক্ত সুপার মমতাজ আলী জানান, ১৯৯৫ সালে আমরা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাদ্রাসার কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারি না। অফিস সহকারি অনুরোধে করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ধান চাষের অনুমতি দিয়েছি। তাছাড়া মাদ্রাসার বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা তো করে না।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে ধান রোপণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা যেহেতু এমপিও ভুক্ত হয়নি। করোনার জন্য বন্ধও রয়েছে। তাই ফেলে না রেখে অফিস কর্মচারী ধান রোপণ করেছেন এতে সমস্যা তো দেখছি না।

 

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠে ধান চাষ করার কোনো বিধান নেই। মাঠটি খেলার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারকে ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।