শসা কাঁচা খাওয়া হয় আবার সালাদ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। এর উৎপত্তি ভারতবর্ষে হলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই জন্মে। এটি সাধারণত গরমের সময় বেশি পাওয়া যায়। শসায় ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকলেও জলের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে এটি মানুষের শরীরের পানিশূন্যতাসহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। শসার ভেষজ গুণের শেষ নেই। এ কারণে সৌন্দর্য পিপাসু নারী-পুরুষেরা শসা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে শসার বিকল্প নেই। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক শসার গুণাগুণ।
পানিশূন্যতা দূর করে
সারাদিন কাজের ব্যস্ততার কারণে পর্যাপ্ত পানি পান করা হয় না অনেকেরই। এই পানি ঘাটতি দূর করতে শসার তুলনা হয় না। শসায় ৯০ ভাগ পানি থাকায় শরীরের প্রয়োজনীয় পানির অভাব দূর করে শরীর সুস্থ রাখে।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়মিত শসা খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী শসা।
শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে
শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে শরীর ভালো রাখে, সেইসঙ্গে কিডনি থাকে সুস্থ।
ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে
শসা শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’র চাহিদা পূরণ করে শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে। শসার সবচেয়ে ভালো পুষ্টি পেতে হলে সবুজ শাক এবং গাজরের সঙ্গে খাওয়া ভালো।
ত্বকের বন্ধু
শসায় উচ্চমানের পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সিলিকন রয়েছে, যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। শসা নখ ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। চুল তাড়াতাড়ি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
হজমে সহায়তা করে ও ওজন কমায়
শসাতে রয়েছে প্রচুর পানি এবং অল্প পরিমান ক্যালরি। ফলে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শসা আদর্শ খাবার। শসা খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়। প্রতিদিন শসা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর।
চুল ও নখ সতেজ করে
শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।