হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিজ বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৩ জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত ৩ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ দিকে বুধবার রাতের ঘটনায় কয়েক শত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে সদর ইউএনও এবং পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও দুটি মামলা হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার রাতে হামলার সময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুকে জাপটে ধরে আটক করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে বাসভবনে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় সদর ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে ৩০–৪০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েক শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া সরকারি কাজে বাধা, জনগণকে লাঞ্ছিত ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে। আটক ১৩ জনকে উভয় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে যান সিটি করপোরেশনের কর্মী পরিচয়ে একদল যুবলীগ–ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় অনুমতি ছাড়া সরকারি দপ্তরে প্রবেশে বাধা দেন কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা। এক পর্যায়ে ইউএনও মুনিবুর রহমান সেখানে উপস্থিত হলে তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান যুবলীগ ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে তাঁরা ইউএনওর বাসভবনে ঢুকে হামলার চেষ্টা চালালে আনসার সদস্যরা গুলি করেন। এ নিয়ে রাত ২টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।