হাওর বার্তা ডেস্কঃ জলাশয়ে জন্ম নেয় বর্ষার বুনো ফুল কেশরদাম। মালচা নামেও অনেকে চেনে। চমৎকার এ উভচর জলজ উদ্ভিদ আমাদের দেশের খেতখামারে আগাছা হিসেবে বেড়ে ওঠে। তা হলেও এর সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। সাদা ও হলুদ দুই রঙের ফুলই সাধারণত আমাদের দেশে দেখা যায়।
কেশরদাম খাড়া, লতানো বা ভাসমান প্রকৃতির হতে পারে। অধিকাংশ প্রজাতির শাখা-প্রশাখা হয় না। পাতা বিপরীতমুখী বা একান্তর ও উপপত্রহীন। শাখার শীর্ষে একক ফুল হয়। বৃত্যাংশ ৪-৫টি, ত্রিভুজাকার। বর্ণ হলদে, সাদা বা দুধসাদা, পাপড়ি ৪-৫টি অথবা অনুপস্থিত। প্রতিটি ফুলে রোমহীন বা রোমযুক্ত ৪-৮টি পুংকেশর থাকে। কোনো কোনো সময় পুংকেশরের গোড়ায় রোমশ মধুগ্রন্থি থাকে। ফুল থেকে বীজ হয়, ফল বা বীজাধার বেলনাকার। বীজ বাদামি থেকে ফিকে বাদামি, গোলাকার বা উপবৃত্তাকার।
শাক হিসাবে খাওয়া হয় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর কাচা পাতা এবং কচি শেকড় সালাদ হিসাবে খাওয়া হয়।কেশরদামের রয়েছে অসাধারণ কিছু ভেষজ গুণ। চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন নিরাময়ে কেশরদাম দারুণ কার্যকর ভেষজ। গ্যাস্ট্রিক বা আলসার সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ দেয়। এছাড়া এটি আমাশয়, জ্বর, কাশি এবং ফোড়া নিরাময়েও সহায়ক। ত্বকের উজ্জ্বতা বাড়াতেও অনেকে ব্যবহার করে থাকেন।