ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন করা যাবে না’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১
  • ১৪২ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোনো নারী এবং পুরুষের মধ্যে যৌন মিলন ঘটার ক্ষেত্রে সম্মতি থাকতেই হবে, তারা বিবাহিত হোক বা না হোক। সুতরাং সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন করা যাবে না। এই  রায়ে গত সপ্তাহে এ কথা বলেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের হাইকোর্ট।

যে মামলায় এ রায় দেওয়া হয়েছে তার আবেদনকারী মহিলা বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ থাকলেও তার স্বামী তাকে নিয়মিত যৌন মিলনে বাধ্য করতেন।

কেরালা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি কওসার এডাপ্পাগাথ এবং বিচারপতি এ মুহাম্মদ মুস্তাক তাদের রায়ে বলেন, স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া স্বামীর এই কর্মকাণ্ড বৈবাহিক ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে।

তারা রায়ে আরও বলেন, এই বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ বিচ্ছেদেরও ন্যায়সঙ্গত কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ, অর্থাৎ যেখানে ধর্ষিতা ও ধর্ষকের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকে, সেটাকে কোনো অপরাধ বলে গণ্য করা হয় না।

কিন্তু কেরালা হাইকোর্ট তাদের রায়ে বলছে, এটাকে চরম নৃশংসতা বলে গণ্য করাই যায়, যার ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনও মঞ্জুর করা সম্ভব। কলকাতায় নারী অধিকার কর্মী ও অধ্যাপক শাশ্বতী ঘোষ মনে করছেন, ভারতীয় উপমহাদেশের পটভূমিতে এ রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এখানে যৌন মিলনের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সম্মতিও যে জরুরি, সেই স্বীকৃতিটারই অভাব আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন করা যাবে না’

আপডেট টাইম : ০৯:১৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোনো নারী এবং পুরুষের মধ্যে যৌন মিলন ঘটার ক্ষেত্রে সম্মতি থাকতেই হবে, তারা বিবাহিত হোক বা না হোক। সুতরাং সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন করা যাবে না। এই  রায়ে গত সপ্তাহে এ কথা বলেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের হাইকোর্ট।

যে মামলায় এ রায় দেওয়া হয়েছে তার আবেদনকারী মহিলা বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ থাকলেও তার স্বামী তাকে নিয়মিত যৌন মিলনে বাধ্য করতেন।

কেরালা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি কওসার এডাপ্পাগাথ এবং বিচারপতি এ মুহাম্মদ মুস্তাক তাদের রায়ে বলেন, স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া স্বামীর এই কর্মকাণ্ড বৈবাহিক ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে।

তারা রায়ে আরও বলেন, এই বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ বিচ্ছেদেরও ন্যায়সঙ্গত কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ, অর্থাৎ যেখানে ধর্ষিতা ও ধর্ষকের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকে, সেটাকে কোনো অপরাধ বলে গণ্য করা হয় না।

কিন্তু কেরালা হাইকোর্ট তাদের রায়ে বলছে, এটাকে চরম নৃশংসতা বলে গণ্য করাই যায়, যার ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনও মঞ্জুর করা সম্ভব। কলকাতায় নারী অধিকার কর্মী ও অধ্যাপক শাশ্বতী ঘোষ মনে করছেন, ভারতীয় উপমহাদেশের পটভূমিতে এ রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এখানে যৌন মিলনের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সম্মতিও যে জরুরি, সেই স্বীকৃতিটারই অভাব আছে।