শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেও গুণগত মানে এখনও অনেক পিছিয়ে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের মধ্য দিয়েই শিক্ষা ব্যবস্থার মানের পরিবর্তন আনতে হবে।
বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মিলনায়তনে লেখক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ওই সংবর্ধনার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, লেখার মধ্য দিয়েই নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরই বই লেখা এবং গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরো বেশি পরিমাণ বই লিখতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা অনুপাতে বই অতিসহজেই পেতে পারেন।
বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা আনায়নে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো তাগিদ অনুভব করতে হবে।
বাংলাদেশে নারী শিক্ষার আমুল পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নানা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহল এখন স্বীকৃতি দিচ্ছে। অনেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নকে মডেল হিসেবে অনুসরণ করছে। দেশকে মধ্য আয় এবং উচ্চ আয়ের দেশে নিতে সরকার নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। তবে শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন হবে না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট আইন করে দেয়া হচ্ছে। সেই আইন বলেই উচ্চশিক্ষার মান নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আরো সচেষ্ট হতে হবে।
শিক্ষা কোনো পণ্য নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যারা শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরকে এই মহতি পেশায় আরো দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা বিশ্বের যে কোনো শিক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাস্তবমুখি কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যারয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. দিল আফরোজ বেগম, লেখক প্রফেসর আয়েশা খানম, অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ।