হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী রবিবার খুলে দেওয়া হবে রফতানিমুখী সব ধরনের কল-কারখান। সরকারের এমন ঘোষণার পরপরই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার বাংলাবাজার ফেরিঘাটে সকাল থেকেই কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় খোলা ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেট কার, সিএনজি, মাহেন্দ্র, অটো ও মোটরসাইকেল যোগে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন তারা। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে ফেরিঘাটে।
এদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন রয়েছে যার মধ্যে পণ্য বোঝাই ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
সকাল থেকে ফেরি পার হয়ে শিমুলিয়ায় নেমেছেন লাখো মানুষ। ঘাটে নামার পর ঢাকায় যাওয়ার গাড়ি পাচ্ছেন না। অনিশ্চয়তা নিয়ে কেউ অটো, কেউ মোটরসাইকেল আবার কেউ হেঁটেই রওনা দিচ্ছেন।
কদমতলী, পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে জন প্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ভাড়া। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে প্রতি মোটরসাইকেলে দুজন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। চালকসহ তিন জন। অটোয় ৮ থেকে ১০ জন করে নিচ্ছেন। প্রতি জন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। খোলা পিক আপ নিচ্ছে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে। তাতেও ঠাসাঠাসি করে চড়ছে মানুষ।
কর্মস্থলে ফেরা এসব যাত্রীদের অনুযোগ— ‘ঈদের আগে বলা হয়েছিল- লকডাউন খুললে কল-কারখানা খোলা হবে। তাই লকডাউন খোলা আগ পর্যন্ত যে যেকানেআছে সেখানেই যেনো অবস্থান করে। তবে কঠোর লকডাউনের মধ্যে কল-কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। গণ পরিবহন বন্ধ রেখে কারখানা খোলা হচ্ছে। তাদের প্রশ্ন- এ অবস্থায় কীভাবে ঢাকায় ফিরবেন?’
ফরিদপুর থেকে আসা আমিন মিয়া জানান, বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ হেঁটে এবং অটোয় করে কোনো রকমে ঘাটে এসেছেন। ফেরি পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর কোনো যানবাহন পাচ্ছেন না।