ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীরগাঁও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ তিনটি সাঁকো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • ১৫০ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা-বীরগাঁও সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে যাতায়াতকারী মানুষেরে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই । ক্ষতিগ্রস্ত নিচু সড়কে বর্ষায় পানি উঠায় প্রতিদিন সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে চলাচল করতে হয় পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের।

স্থানীয়দের ভোগান্তির কথাভেবে এগিয়ে আসে গ্রামের কয়েকজন যুবক।

জলমগ্ন সড়কে চলাচলের ভোগান্তি দুর করতে যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সড়কের বীরগাঁও অংশে নির্মাণ করা হয় তিনটি সেতু। শনিবার (১০ জুলাই) দিনব্যাপী স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ কাজ করেন এলাকার ৫-৭ জন যুবক। সড়কের পূর্বপাড়া থেকে কবরস্থান মোড় পর্যন্ত বৃহৎ তিনটি সেতু নির্মাণে চলাচলে এলাকাবাসীর কষ্টের লাঘব হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় যুবক ও প্রবাসীদের উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল। এর বিপরীতে রাস্তার এই বেহাল অবস্থার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। আগামী মৌসুমের শুরুতে রাস্তাটির উন্নয়ন করে ভোগান্তির স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা বীরগাঁও সড়ক উপজেলার একটি ব্যস্ততম সড়ক। ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম বিরম্বনার স্বীকার হতে হচ্ছে পথচারিদের। এই সড়ক দিয়ে পূর্ব বীরগাঁও ও পশ্চিম বীরগাঁও ও পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।

সড়কের বীরগাঁও অংশের লাউয়া নদী থেকে পূর্বপাড়া কবরস্থানের মোড় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তায় বর্ষায় দুই থেকে তিনমাস পানি বন্দী থাকে। পাখিমারা হাওরের ঢেউয়ের তান্ডবে সড়কের কবরস্থান মোড় থেকে গুইরাখাল পর্যন্ত সড়কের মাটি বিলীন হয়ে গেছে। সড়কে একাধিক সাঁকো নির্মাণ করে কোনোরকম চলাচল করছেন পথচারীরা। জলমগ্ন সড়কে নতুন করে আরও তিনটি সেতু নির্মাণ করে পথচারীদের যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

সাঁকো নির্মাণে উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্থানীয় যুবক মো. রিফান আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ কষ্ট করে চলাচল করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে পানি উঠায় পায়ে হেটে গ্রামের ভেতরে যাওয়া যায় না। তখন নৌকাই ভরসা। শিশু, নারী ও বয়স্ক লোকজন অনেক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে প্রবাসী ও স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতায় তিনটি সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছি আমরা। আশা করবো আগামী বছর মানুষের এই কষ্টের স্থায়ী একটি সমাধান যেন হয় । এক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সুনজর কামনা করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগাঁও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ তিনটি সাঁকো

আপডেট টাইম : ১২:৩৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা-বীরগাঁও সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে যাতায়াতকারী মানুষেরে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই । ক্ষতিগ্রস্ত নিচু সড়কে বর্ষায় পানি উঠায় প্রতিদিন সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে চলাচল করতে হয় পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষের।

স্থানীয়দের ভোগান্তির কথাভেবে এগিয়ে আসে গ্রামের কয়েকজন যুবক।

জলমগ্ন সড়কে চলাচলের ভোগান্তি দুর করতে যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সড়কের বীরগাঁও অংশে নির্মাণ করা হয় তিনটি সেতু। শনিবার (১০ জুলাই) দিনব্যাপী স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ কাজ করেন এলাকার ৫-৭ জন যুবক। সড়কের পূর্বপাড়া থেকে কবরস্থান মোড় পর্যন্ত বৃহৎ তিনটি সেতু নির্মাণে চলাচলে এলাকাবাসীর কষ্টের লাঘব হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় যুবক ও প্রবাসীদের উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল। এর বিপরীতে রাস্তার এই বেহাল অবস্থার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। আগামী মৌসুমের শুরুতে রাস্তাটির উন্নয়ন করে ভোগান্তির স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা বীরগাঁও সড়ক উপজেলার একটি ব্যস্ততম সড়ক। ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম বিরম্বনার স্বীকার হতে হচ্ছে পথচারিদের। এই সড়ক দিয়ে পূর্ব বীরগাঁও ও পশ্চিম বীরগাঁও ও পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।

সড়কের বীরগাঁও অংশের লাউয়া নদী থেকে পূর্বপাড়া কবরস্থানের মোড় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তায় বর্ষায় দুই থেকে তিনমাস পানি বন্দী থাকে। পাখিমারা হাওরের ঢেউয়ের তান্ডবে সড়কের কবরস্থান মোড় থেকে গুইরাখাল পর্যন্ত সড়কের মাটি বিলীন হয়ে গেছে। সড়কে একাধিক সাঁকো নির্মাণ করে কোনোরকম চলাচল করছেন পথচারীরা। জলমগ্ন সড়কে নতুন করে আরও তিনটি সেতু নির্মাণ করে পথচারীদের যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

সাঁকো নির্মাণে উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্থানীয় যুবক মো. রিফান আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ কষ্ট করে চলাচল করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে পানি উঠায় পায়ে হেটে গ্রামের ভেতরে যাওয়া যায় না। তখন নৌকাই ভরসা। শিশু, নারী ও বয়স্ক লোকজন অনেক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে প্রবাসী ও স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতায় তিনটি সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছি আমরা। আশা করবো আগামী বছর মানুষের এই কষ্টের স্থায়ী একটি সমাধান যেন হয় । এক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সুনজর কামনা করেন তিনি।