হাওর বার্তা ডেস্কঃ বড় হলুদ রঙের ফুলটা দেখতে আর দশটা সাধারণত ফুলের মতো। কিন্তু এই ফুলেই যে রয়েছে মারাত্মক বিষ যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ড্রাগ’ হিসেবে পরিচিত তা কে জানত। নিরীহ দর্শন ওই ফুলের গন্ধ শুঁকেই বিপাকে পড়েছেন টিকটক ব্যবহারকারী এক তরুণী।
এনডিটিভি বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফেলা ওয়েম্যান নামে কানাডার টরেন্টোর বাসিন্দা ওই তরুণী তার বন্ধুর সাথে হাঁটছিলেন। এ সময় রাস্তার পাশে ফুটে থাকা হলুদ রঙের ওই ফুল তাদের নজর কাড়ে। ফুল দেখে মুগ্ধ হয়ে তারা এর গন্ধ নেন। এরপর থেকেই তাদের খারাপ লাগা শুরু হয়।
ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে শেয়ার করা এক ভিডিওতে রাফেলা জানিয়েছেন, ওই অবস্থায় আমরা আমাদের এক বন্ধুর জন্মদিন অনুষ্ঠানে যাই। কিন্তু আমাদের এতো খারাপ লাগছিল যে বাসায় চলে আসি।
ইনস্টাগ্রামেও এ নিয়ে ভিডিও আর ছবি শেয়ার করেছেন রাফেলা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে মনে হচ্ছিল আমি দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পাচ্ছি না। বাড়ি এসে আমি একদম বেহুঁশের মতো হয়ে যাই। মনে হচ্ছিল কেউ কালো পোশাক পরে আমার ঘরে ঢুকেছে। আর ঠিক আমার পাশে বসে আমাকে এমন এক ইঞ্জেকশন দিয়েছে যে আমি কথা বলতে, চিৎকার করতে এমনকি নড়তেও পারছিলাম না। ঘুমের মধ্যে দেখছিলাম ভয়াবহ সব দুঃস্বপ্ন।
তবে আশার কথা হলো এই লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন রাফেলা।
তবে রাস্তার পাশে যেকোনো ফুল দেখতেই ছুটে গিয়ে গন্ধ শুঁকতে বারণ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, রাফেলা যে ফুলের গন্ধ শুঁকেছিলেন তা অ্যাঞ্জেল’স ট্রাম্পেট নামে পরিচিত।
এই ফুলে আছে অ্যাট্রোপাইন, হায়োসাইসামিন ও স্কোপোলামাইনের মতো মারাত্মক বিষ। অত্যন্ত বিপজ্জনক ড্রাগ হিসেবে কুখ্যাতি থাকায় স্কোপোলামাইন ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ হিসেবেও পরিচিত।