ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগে বিএনপি-জামায়াত

ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলে কদর বেড়েছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের। আর এ সুযোগে নিজেদের গা বাঁচাতে তারা যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগে। তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীনতাবিরোধী শান্তি কমিটির সদস্য ও জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সদস্যও রয়েছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ভোটের নানা হিসাব কষে তৃণমূল পর্যায়ে এসব নাশকতাকারীকে দলে ভেড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা এবং কোনো কোনো স্থানে সংসদ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এ ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের। এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাকর্মীরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। তাদের অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাতক্ষীরা, সিলেট, জয়পুরহাট, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। কিছুদিন আগে শাসক দলে যোগ দিয়েই মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন তাদের কেউ কেউ। আবার যারা মনোনয়ন পাননি, তাদের অনেকেই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এতে শাসক দলের তৃণমূল পর্যায়ে চলছে চরম অস্থিরতা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররম নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে দলে ভিড়িয়েছেন জেএমবি’র একজন সদস্য, শান্তি কমিটির একজন সদস্য এবং বিএনপির টানা তিন মাস অবরোধে নাশকতার সঙ্গে যুক্ত বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, আমরা বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটা খবর পাচ্ছি। এর সত্যতা খতিয়ে দেখব। প্রমাণ পেলে বা ঘটনা সত্য হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, আদর্শবিরোধী, সংগঠনের বিরুদ্ধে কাজ করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী এমন ব্যক্তিদের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কেউ স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন তা কতটুকু সত্য সে ব্যাপারে তার প্রশ্ন রয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো থেকে আনু মোস্তফা জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নে পারচৌকা গ্রামের জেএমবির একসময়ের সংগঠক একরামুল হক আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। ওইদিন রাত ৯টার সময় পারচৌকা গ্রামে একটি মঞ্চ তৈরি করে জেএমবির একরামুল হক ও সাবেক শিবির নেতা সাজুরুদ্দিন সাজু দলবল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মনাকষা ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মির্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররমের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর মধ্যে শিবির ক্যাডার সাজুকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ গত বছর একটি সহিংসতার ঘটনায় আটক করলেও পরে স্থানীয় নেতাদের সুপারিশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মীর্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররম সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও শিবগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব.) এনামুল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় রাজনীতিতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মইনুদ্দীন মণ্ডল ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের সক্রিয় নেতা খুররম। শিবগঞ্জের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও কানসাট বিদ্যুৎ আন্দোলনের নেতা গোলাম রব্বানীর সঙ্গে তার প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব রয়েছে। গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে দল ভারি করতে জেএমবি সদস্য ও নাশকতাকারীদের তিনি দলে ভেড়াচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ধারণা।
তবে মীর্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররম যুগান্তরের কাছে দাবি করেছেন, একরামুল হক জেএমবি (জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) সদস্য ছিলেন না এবং সাজুরুদ্দিন সাজু শিবির করত না। আর দলে নেয়ার ব্যাপারে তার যুক্তি, ‘স্থানীয় নির্বাচনে ভোটের প্রশ্নে সবাই নিজের অবস্থান বাড়াতে চাইবে- এটাই সঠিক।’
জানা গেছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মীর্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররমের বাসভবনে শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী, রানীনগরের বিএনপি কর্মী সেরাজুল ইসলাম তাদের আত্মীয়স্বজনসহ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরের দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে এ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিল উদ্দিনের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে দলে যোগদান করান সদর আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ। উপজেলা কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে আবদুল ওদুদ তার ঘনিষ্ঠ দুই ইউনিয়নের সম্ভাব্য দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জেতাতে এসব বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে দলে নেন বলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনে সরকারি দলের এ সংসদ সদস্য (আবদুল ওদুদ) কয়েক বছর আগেও বিএনপির নেতা ছিলেন।
অন্যদিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর কাকনহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মজিদের হাতে ফুল দিয়ে সরকারি দলে যোগ দেন পাঁচ শতাধিক বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী সমর্থক। এসব নেতাকর্মী পৌরসভার বাইরের বাসিন্দা। ইউপি নির্বাচনে মজিদ তার ঘনিষ্ঠ এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বাড়াতে এ যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও তার ভাইদের হাত ধরে তিন সহস্রাধিক জেএমবি ক্যাডার সরকারি দলে ঢুকেছেন। এরা বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। জামায়াতের হয়ে যারা একসময় জেএমবিতে ছিলেন পরে তারা জামায়াতে ফিরলেও ক্ষমতাসীন দলের ছায়ায় বাগমারাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। স্থানীয় নির্বাচনে এসব জেএমবি ক্যাডার ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মিশে গেছেন।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ওসি মতিয়ার রহমান যুগান্তরকে বলেন, জেএমবি ও চমরপন্থীদের তালিকায় যাদের নাম আছে, তাদের অধিকাংশই জামিনে এলাকায় রয়েছেন। এদের অনেকেই বিভিন্ন দলের ছত্রছায়ায় থেকে এখন জীবনযাপন করছেন। তবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতেই তারা রয়েছেন।
বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের নেতৃত্বে এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ এখন শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। এখন জেএমবি বা চরমপন্থীদের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকাভুক্ত কোনো সন্ত্রাসী বা বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যেন দলীয় মনোনয়ন না পায় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী জানান, ২০১৩ সালে এক সহিংস ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে সাঁপুই আত্মরক্ষার জন্য আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাধা পেয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। একই উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক গাইন এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। তিনিও পরে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হকের হাতে ফুল দিয়ে ঢুকে পড়েন আওয়ামী লীগে। এ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের আসাদুর রহমান সেলিম আগে বিএনপি করতেন। বিএনপি সরকার পরিবর্তনের পরপরই তিনি আওয়ামী লীগের নেতা বনে যান। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি। অপরদিকে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের এসএম শওকত হোসেন প্রথমে জামায়াত করতেন। পরে জাতীয় পার্টিতে চলে যান। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে এবার দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। মথুরেশপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ফিরোজ কবির কাজল জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপি হয়ে এখন আওয়ামী লীগের নেতা। তিনিও প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। এছাড়া ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন বিএনপি থেকে সরকারি দলে যোগ দেন কিছুদিন আগে।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার কয়লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মহিদুল ইসলাম ২০১২ সালে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তার লক্ষ্য ছিল এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেছেন। এদিকে দেয়াড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবার রহমান মোফে ২০০৪ সালে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি এবার এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন। এদিকে সাতক্ষীরার ব্রম্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম আকবর কবির সরকারি কর্মচারী ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর সরাসরি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। দুই মাস আগে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং সম্প্রতি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। গোলাম আকবর কবির জানান, ‘আগে থেকে জানতাম আওয়ামী লীগ নেতা না হলে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না। এ কারণেই নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি।’
সিলেট ব্যুরো থেকে আবদুর রশিদ রেনু জানান, সিলেট প্রেস ক্লাবে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ছাতক সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী সাইফুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক মাফিজ আলী বলেন, দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি প্রকৃত কর্মীদের মূল্যায়ন না করে ছাতক সদর ইউনিয়নে বহিরাগত বিএনপি-জামায়াতের দোসর মো. সাইফুল ইসলামকে বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে, যা দেখে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতাকর্মী হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন। তার পিতা সিরাজ মিয়া একটি ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান সভাপতি। তার পুরো পরিবার বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অপর সংবাদ সম্মেলনে ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেন, দলের ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে মূল্যায়ন না করে চেয়ারম্যান পদে সদ্য যোগদানকারী বিএনপি-জামায়াতপন্থী অদুদ আলমকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন লালা লিখিত বক্তব্যে বলেন, দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কালারুকা ইউনিয়নে সদ্য যোগদানকারী জামায়াত পরিবারের সদস্য অদুদ আলমকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। একটি প্রভাবশালী চক্র বিপুল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ডকে ভুল তথ্য দিয়ে তাকে দলীয় প্রার্থী করে। তারা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। পাশাপাশি অদুদ আলমের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলের ত্যাগী ও প্রকৃত আওয়ামী লীগের কাউকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর