মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড কিংবা কম্পিউটার-আপনার পাসওয়ার্ড চুরি করতে সবসময়ই তৈরি হ্যাকাররা। আসলে হ্যাকারদের মূল লক্ষ্যই হলো আপনার তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। আপনার পাসওয়ার্ড জেনে ই-মেইল বা কম্পিউটার-মোবাইল ফোনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নথি বা ছবি হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা।
এমনও তো হতে পারে, আপনার পাসওয়ার্ড জেনে আপনারই ই-মেইল থেকে সংগঠিত হলো কোনও অপরাধ বা আপনার মেইলে ঢুকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারে হ্যাকাররা। কিংবা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড জেনে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকাও হাতিয়ে নিল হ্যাকাররা!
কিন্তু কীভাবে পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে হ্যাকাররা? এজন্য সাধারণত তিনটি উপায় বেছে নেয় তারা।
এর মধ্যে তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো উঁকি ঝুঁকি মারা (Shoulder Surfing)। অর্থাৎ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা এটিএম কার্ডে আপনি যখন পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন, তখন কেউ উঁকি ঝুঁকি মেরে দেখে নিতেই পারে। একেই বলা হয় ‘সোল্ডার সার্ফিং’।
এরপর রয়েছে গা-জোয়ারি আক্রমণ (Bruteforce Attacks)। আপনার নাম, ডাকনাম, জন্ম তারিখ, স্কুলের নাম ইত্যাদি জেনে নিয়ে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে হ্যাকাররা। একে বলা হয় ‘ব্রুটফোর্স অ্যাটাক’।
এছাড়া রয়েছে অভিধান আক্রমণ (Dictionary Attack)। এজন্য বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে অভিধানের সম্ভাব্য সব শব্দ ব্যবহার করে আপনার পাসওয়ার্ড ভেঙে ফেলতে পারেন হ্যাকাররা। একে বলা বয় ‘ডিকশনারি অ্যাটাক’।
তাই কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ডকে শক্তিশালী করতে হবে, এজন্য কী করবেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি অক্ষরের পাসওয়ার্ড মানেই বেশি সুরক্ষা। তাই ৮ বা তার বেশি অক্ষরের পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ডে অক্ষরের সঙ্গে সংখ্যা বা ‘বিশেষ চিহ্ন’ ব্যবহার করুন।
এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা লিখে রাখতে হবে না, সহজেই মনে রাখা যায়। ১৫ দিন অন্তর পাসওয়ার্ড বদল করুন।
কেউ জেনে ফেলেছে সন্দেহ হলে পাসওয়ার্ড সঙ্গে সঙ্গে বদলে নিন। আপনার নাম, ডাকনাম, জন্ম তারিখ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবেন না। প্রকাশ্য স্থানে পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।