হাওর বার্তা ডেস্কঃ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতি পেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম-শামীমা আক্তার সুমী দম্পতি। রোববার (২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতি পান তারা।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার থেকে ছেলে ও পুত্রবধূ একই সঙ্গে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা জাহিদুল ইসলামের বাবা আবদুল হাই। এ জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সরকারের প্রতি।
৩৩তম বিসিএসের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বর্তমানে কর্মরত আছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার হিসেবে। আর একই বিসিএসের কর্মকর্তা শামীমা আক্তার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন বিশেষ শাখায় (এসবি)।
দুই সন্তানের জনক জাহিদুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের আবদুল হাইয়ের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জাহিদ সবার বড়।
বরগুনার কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি ও বরিশাল বিএম কলেজ থেকে ২০০৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন জাহিদুল ইসলাম। এরপর ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।
অন্যদিকে মাদারীপুরের মেয়ে শামীমা আক্তার ২০০৪ সালে এসএসসি ও ২০০৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর স্নাতক সম্পন্ন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। আর স্নাতকোত্তর করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীমা সবার ছোট।
এ বিষয়ে বলেন, জাহিদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়ার খবরটি আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের। একই সঙ্গে জাহিদের সহধর্মিণীও পদোন্নতি পাওয়ায় খবরটি আরও পূর্ণতা পেয়েছে। গর্বিত এই দম্পতিকে শুভকামনা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জাহিদুল ইলামের বাবা আবদুল হাই বলেন, গতকাল (রোববার) খবরটি শোনার পর থেকেই আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুবই আনন্দিত। আনন্দিত আমার এলাকাবাসীও। আমি তাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই, যাতে তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে।
এদিকে পদোন্নতি পাওয়ার পর এই দম্পতির উভয়ই ফেসবুক পোস্টে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সবার প্রতি। পাশাপাশি দোয়াও চেয়েছেন।