ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে দোয়াগুলো বেশি পড়বেন মাগফেরাতের দশকে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • ১৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেখতে দেখতে রমজান মাসের অর্ধেক পার করে ফেলেছি। রমজানের প্রথম দশক রহমত শেষ করে এখন মাগফেরাতও শেষের পথে। বহুল কাঙ্খিত এই মাহে রমজানও শেষ হয়ে যাবে। তাই ফজিলতপূর্ণ এই মাসে সময় নষ্ট না করে আল্লাহর কাছে নতি স্বীকার করি। রমজানের এই দশকে প্রত্যেক রোজাদারের একান্ত কামনা থাকে যে মহান আল্লাহ যেন তাকে মাফ করে দেন।

এছাড়া রোজাদার মুমিন মুসলমানের হৃদয় এ মাসে যেমন আল্লাহ তাআলার জান্নাতের প্রশান্তি পায় তেমনি তার হৃদয়ের আধ্যাত্মিক বাগান এ মাসে নানান ধরণের ফুল-ফলে সুশোভিত হয়ে ওঠে। আমরা যদি আমাদের পরিবারগুলোকে জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে দেখতে চাই, তবে পবিত্র এ রমজানের অবশিষ্ট দিনগুলোকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে।

প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য সে যেন কেবল নিজেই মুত্তাকি না হয় বরং সে নিজে এবং পরিবারের সবাইকে যেন নেককার-মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করে। সব ধরণের পাপ ও খারাপ কাজ থেকে রক্ষা পেতে পুরো পরিবারকে সঠিক ইসলামী শিক্ষায় আলোকিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

মাগফেরাতের দশকে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা ও অনুগ্রহ পেতে রোনাজারি, কান্না-কাটি করবে। মাগফেরাতের দশকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য বেশি বেশি দুইটি দোয়া পড়তে হবে-

رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

উচ্চারণ: ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’

অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)

رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণ: ‘রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’

অর্থ: ‘(হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)

আল্লাহ তাআলার দরবারে আমাদের প্রার্থনা থাকবে, তিনি যেন আমাদের দোয়া গ্রহণ করে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন। যেহেতু রমজানের রোজা হলো গোনাহ মাফ, ক্ষমার মধ্য দিয়ে চিরশান্তি ও চিরমুক্তির একটি সুনিশ্চিত ব্যবস্থা; অতি নির্ভরযোগ্য সুযোগ। তাই এ সুযোগ গ্রহণ করা ঈমানের একান্তি দাবি। একান্তুই যদি কেউ এ সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তার ধ্বংস অনিবার্য, তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী।

রোজাদারকে মনে রাখতে হবে

রোজা পালনের মানেই হচ্ছে কতগুলো বিষয় থেকে বেঁচে থাকা ও কতগুলো বিষয়কে বর্জন করা। এর মাঝে বাহ্যিকতার কোনো আমল নেই। কেননা অন্য যে কোনো ইবাদত মানব দৃষ্টিতে ধরা পড়ে কিন্তু রোজা এমন এক ইবাদত যা শুধু আল্লাহই দেখতে পান, যার মূল শিকড় রোজাদার ব্যক্তির হৃদয়ে তাকওয়ার সঙ্গে লুকায়িত থাকে।

সুতরাং আমরা যদি আল্লাহ পাকের আদেশ-নিষেধ পরিপূর্ণভাবে প্রথমে নিজেরা পালন করি এবং পরিবারের সবাইকে সেভাবে গড়ে তুলি তাহলেই আমাদের ঘরে জান্নাতি পরিবেশ ও আবহ বিরাজ করবে। তাই নিজেদের পরিবারগুলোকে জান্নাতি পরিবারে অন্তর্ভূক্ত করাতে পবিত্র রমজানে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়ার বিকল্প নেই।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ক্ষমার দশকে মাফ করে দিতে তার মাগফেরাতের চাদরে জড়িয়ে নিন। আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যে দোয়াগুলো বেশি পড়বেন মাগফেরাতের দশকে

আপডেট টাইম : ১১:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেখতে দেখতে রমজান মাসের অর্ধেক পার করে ফেলেছি। রমজানের প্রথম দশক রহমত শেষ করে এখন মাগফেরাতও শেষের পথে। বহুল কাঙ্খিত এই মাহে রমজানও শেষ হয়ে যাবে। তাই ফজিলতপূর্ণ এই মাসে সময় নষ্ট না করে আল্লাহর কাছে নতি স্বীকার করি। রমজানের এই দশকে প্রত্যেক রোজাদারের একান্ত কামনা থাকে যে মহান আল্লাহ যেন তাকে মাফ করে দেন।

এছাড়া রোজাদার মুমিন মুসলমানের হৃদয় এ মাসে যেমন আল্লাহ তাআলার জান্নাতের প্রশান্তি পায় তেমনি তার হৃদয়ের আধ্যাত্মিক বাগান এ মাসে নানান ধরণের ফুল-ফলে সুশোভিত হয়ে ওঠে। আমরা যদি আমাদের পরিবারগুলোকে জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে দেখতে চাই, তবে পবিত্র এ রমজানের অবশিষ্ট দিনগুলোকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে।

প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য সে যেন কেবল নিজেই মুত্তাকি না হয় বরং সে নিজে এবং পরিবারের সবাইকে যেন নেককার-মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করে। সব ধরণের পাপ ও খারাপ কাজ থেকে রক্ষা পেতে পুরো পরিবারকে সঠিক ইসলামী শিক্ষায় আলোকিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

মাগফেরাতের দশকে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা ও অনুগ্রহ পেতে রোনাজারি, কান্না-কাটি করবে। মাগফেরাতের দশকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য বেশি বেশি দুইটি দোয়া পড়তে হবে-

رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

উচ্চারণ: ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’

অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)

رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণ: ‘রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’

অর্থ: ‘(হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)

আল্লাহ তাআলার দরবারে আমাদের প্রার্থনা থাকবে, তিনি যেন আমাদের দোয়া গ্রহণ করে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন। যেহেতু রমজানের রোজা হলো গোনাহ মাফ, ক্ষমার মধ্য দিয়ে চিরশান্তি ও চিরমুক্তির একটি সুনিশ্চিত ব্যবস্থা; অতি নির্ভরযোগ্য সুযোগ। তাই এ সুযোগ গ্রহণ করা ঈমানের একান্তি দাবি। একান্তুই যদি কেউ এ সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তার ধ্বংস অনিবার্য, তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী।

রোজাদারকে মনে রাখতে হবে

রোজা পালনের মানেই হচ্ছে কতগুলো বিষয় থেকে বেঁচে থাকা ও কতগুলো বিষয়কে বর্জন করা। এর মাঝে বাহ্যিকতার কোনো আমল নেই। কেননা অন্য যে কোনো ইবাদত মানব দৃষ্টিতে ধরা পড়ে কিন্তু রোজা এমন এক ইবাদত যা শুধু আল্লাহই দেখতে পান, যার মূল শিকড় রোজাদার ব্যক্তির হৃদয়ে তাকওয়ার সঙ্গে লুকায়িত থাকে।

সুতরাং আমরা যদি আল্লাহ পাকের আদেশ-নিষেধ পরিপূর্ণভাবে প্রথমে নিজেরা পালন করি এবং পরিবারের সবাইকে সেভাবে গড়ে তুলি তাহলেই আমাদের ঘরে জান্নাতি পরিবেশ ও আবহ বিরাজ করবে। তাই নিজেদের পরিবারগুলোকে জান্নাতি পরিবারে অন্তর্ভূক্ত করাতে পবিত্র রমজানে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়ার বিকল্প নেই।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ক্ষমার দশকে মাফ করে দিতে তার মাগফেরাতের চাদরে জড়িয়ে নিন। আমিন।