হাওর বার্তা ডেস্কঃ শফিউল আলম খান চৌধুরী পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শফিউল আলম খান চৌধুরী ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির মাধ্যমে শিক্ষানবিশ সিনিয়র অফিসার হিসেবে পূবালী ব্যাংকে যোগদান করেন। শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে একই ব্যাংকের সর্বোচ্চ পদে নিযুক্ত হলেন শফিউল আলম খান চৌধুরী। তিনি প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটির প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, করপোরেট শাখার প্রধান, ঢাকা উত্তর অঞ্চলের অঞ্চলপ্রধান ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে থাকা ছাড়াও ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশে-বিদেশে ব্যাংকিং-সংক্রান্ত বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন। শফিউল আলম খান চৌধুরী নেত্রকোণা জেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি সুদীর্ঘ প্রায়-চার দশকের পেশাগত স্বচ্ছতা, বাস্তব অভিজ্ঞতা, সততা ও দক্ষতার মাধ্যমে উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, আধুনিক, প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যাংকিং সেক্টরে অনবদ্য অবদান রেখে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের শীর্ষতম পদে নিযুক্তি লাভের গৌরব অর্জন করেন।
কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার মাধ্যমে একই ব্যাংকে পেশাজীবনের সূচনা করে থেকে শীর্ষতম পদে অধিষ্ঠিত হওয়া শফিউল আলম খান চৌধুরীর উজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ পেশাজীবনের প্রমাণবহ এবং বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের অনন্য দৃষ্টান্ত।
পূবালী ব্যাংকের বিগত দায়িত্ব পালনকালে বিশিষ্ট ব্যাংকিং ব্যক্তিত্ব শফিউল আলম খান চৌধুরী প্রধান কার্যালয়ে ক্রেডিট কমিটির প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, কর্পোরেট শাখা প্রধান, ঢাকা উত্তর অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, উপ-ব্যবস্থাপক পরিচালকসহ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
পূবালী ব্যাংকের এমডি-সিইও, বিশিষ্ট ব্যাংকার শফিউল আলম খান চৌধুরী নেত্রকোণা জেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের একটি শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ফয়েজুর রহমান খান চৌধুরী এবং মাতা খালেদা আক্তার খাতুন।
আত্মীয়তার সূত্রে তিনি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের ঐতিহ্যবাহী ধলা চৌধুরী বাড়ির বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর রফিকুর রহমান চৌধুরী এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক-মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্কিত।
শফিউল আলম খান চৌধুরীর শিক্ষাজীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ কিশোরগঞ্জ শহরে অতিবাহিত হয়েছে। তিনি পারিবারিক জীবনে এক পুত্র ও এক কন্যার গর্বিত পিতা।
পূবালী ব্যাংকের এমডি-সিইও, বিশিষ্ট ব্যাংকার শফিউল আলম খান চৌধুরী বাঙালি জাতীয়তাবাদ, প্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশ্বস্ত সমর্থক এবং মানবতাবাদ, জনকল্যাণ ও জনমুখী মনোভাবের একনিষ্ঠ অনুসারী।
তার নিযুক্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর, ভাষাসংগ্রামী-মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. মাজহারুল হক প্রতিষ্ঠিত মানবসেবা প্রতিষ্ঠান ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন’-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মাহফুজ পারভেজ।
ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, পূবালী ব্যাংকের এমডি-সিইও, বিশিষ্ট ব্যাংকার শফিউল আলম খান চৌধুরী বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং নেত্রকোণা-কিশোরগঞ্জ তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহের ব্যাংকিং ঐতিহ্য ও পরম্পরার সফলতম প্রতিনিধি। ব্যাংকিক-অর্থনীতির গুণিজন এম. সাইদুজ্জামান, ড. আতিউর রহমান, তাহেরউদ্দিন প্রমুখের যোগ্যতম উত্তরাধিকার শফিউল আলম খান চৌধুরীর সুযোগ্য ও গতিশীল দায়িত্বকালে পূবালী ব্যাংকের সমৃদ্ধি ও গতিশীলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণমুখী ব্যাংকিং আরো প্রসারিত ও বিকশিত হবে।