হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত বছর করোনাকালে আলোচিত দুই দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। লকডাউন শেষ হলেই রিজেন্টের মালিক মো. শাহেদ ও জেএমআই-এর চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তবে জেকেজির চেয়ারম্যান ডাক্তার সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান থেমে আছে।
গত বছর জুলাইয়ে করোনার ভূয়া টেস্ট করার অভিযোগ উঠে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ আছে হাসপাতালটির মালিক মো. শাহেদের আদেশেই টেস্ট না করে করোনা রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগে ১৫ জুলাই শাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর অনুসন্ধান শেষে ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৩ সেপ্টেম্বর শাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এই মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ বলে জানিয়েছেন দুদকের মূখ্য আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি আরো জানান, নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পিপিই, এন নাইনটি ফাইভের প্যাকেটে নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহে অভিযোগে ২৯ সেপ্টেম্বর জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এসব অভিযোগের তদন্ত্ও শেষ পর্যায়ে। এছাড়া করোনাকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ত্রাণচুরির অভিযোগে অর্ধ শতাধিক মামলা করেছে দুদক। যার প্রায় সবগুলোই বিচারাধিন আছে।
তবে জিকেজির চেয়ারম্যান ডাক্তার সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদের খোঁজ পেয়েছিলো দুদক। কিন্তু বর্তমানে এ অনুসন্ধান অনেকটাই থেমে আছে। কিন্তু, কেন তা জানা সম্ভব হয়নি।