অগ্রণী ব্যাংকের এমডিকে অপসারণের উদ্যোগ

বেশ কিছু গুরুতর অনিয়মের অভিযোগে রাষ্ট্রীয় মালিকানার অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হামিদকে অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী কেন তাকে অপসারণ করা হবে না_ মর্মে জানতে চেয়ে সম্প্রতি তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পরিচালনা পর্ষদকে না জানিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শাখা স্থানান্তর, পর্ষদের অগোচরে ঋণ প্রদান, ঋণের নবায়ন, ঋণের বিশ্রেণীকরণ ও জামানত পরিবর্তনের মতো অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, এমডির বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না আগামী ৩ মার্চের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে ওই ধারার আওতায় ব্যাংকের পরিচালক বা এমডিকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে আবদুল হামিদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন ধরেননি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রাম আছাদগঞ্জ করপোরেট শাখাটি তিনশ’ গজ দূরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন আবদুল হামিদ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও পরিচালনা পর্ষদকে না জানিয়ে তিনি একাই এ সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, শাখা স্থানান্তরের জন্য নির্ধারিত ভবন নির্মাণে ৮১ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণও অনুমোদন করেন তিনি।

মুন গ্রুপকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদানের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় অগ্রণীর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান খানকে কিছুদিন আগে সব কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হামিদ এ নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে তাকে ঋণ আদায় ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের দায়িত্ব দেন। এসব ঘটনাসহ মোট ১০টি গুরুতর অপরাধে সম্পৃক্ততার দায়ে তার বিরুদ্ধে ৪৬ ধারা অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর