হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১৯৯৯ সালে প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যান মাহবুব লি। শুরুর দিকে প্রবাসীদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করা শুরু করেন। পরে ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন বড়পর্দার সিনেমার অভিনেতা হিসেবে। অভিনেতা হিসেবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কারও পান তিনি। এখন পর্যন্ত ১৫টির মত কোরিয়ান নাটক, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করা মাহবুবের গল্প শুনুন তার মুখেই। -বিবিসি বাংলা
মাহবুব এভাবে ২০০৮ সালে কোরিয়ান ভাষায় নির্মিত বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন। বান্ধবী ছবির নায়ক হিসেবে। পরিচালক তাকে চিনতেন। কারণ তিনি এপেশায় দীর্ঘদিন কাজ করছেন। পরিচালক তাকে একটি কাজ দেন। পরিচালক একজন নায়ক খুজছিলেন। যিনি হ্যান্ডসাম, কোরিয়ান ভাষায় অনর্গল কথা বলতে সক্ষম এবং ভিসা সমস্যা নেই। তো আমি পরিচালককে বললাম যে, নায়কের অভিনয়টা আমি করলে কেমন হয়? পরিচালক আমাকে ডেকে বললেন, আমি জানি তুমি সুদর্শন, কোরিয়ান ভাষা জানো। তোমার ভিসাগত কোনো সমস্যা নেই। তবে একটা কাজ করতে হবে। কাজটি হলো তোমার ওজন কমাতে হবে। দেড় মাসে ১৩ কেজি ওজন কমাতে হয়। জেনজু আন্তর্জাতিক উৎসবে ছবিটি দুটি পুরস্কারও পায়। যার ফলে মিডিয়ায় ফলাও হয়, এই কালো চামড়া এখানে কেন? দেশে যাও। কিছু থ্রেট কলও পাই যার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। রেসিজম সর্বত্রই আছে। সেজন্য আমি আমার মত করে নিয়েছি। আমি এ পর্যন্ত ১৫টি ছবি, শর্ট ফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছি বলে জানান তিনি।