হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর বাঘায় আম বাগান থেকে শামিমা আক্তার সিমা বেগম (৩৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধারের ১৫ দিন পর হত্যারহস্য উৎঘাটন করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত বজলুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর রাতে ফরিদপুর সদর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত বজলুর রহমান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, নিহত শামিমা আক্তার সিমা ছিলেন তার বন্ধুর প্রেমিকা। সিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তার বন্ধুকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো। তাই দুই বন্ধু মিলে সিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।
পুলিশ জানায়, বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের আরিফপুর গ্রামের আতব আলীর মেয়ে শামিমা আক্তার সিমা (৩৫)। সিমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বছর আগে মারা যায়। তারপর থেকে সে বাঘা উপজেলা সদরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সেই সুবাদে বাঘা বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী ও উপজেলার বাজুবাঘা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রাজার (২৪) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অপর আসামি বারখাদিয়া গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে বজলুর রহমান (৪০)।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবদুল বারি জানান, ২৩ মার্চ সকালে শামিমা আক্তার সিমাকে হত্যা করে আরিফপুর মাঠের আরেন আলীর আম বাগানে রেখে যায়। সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মুখে বিষ দেখে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। শামিমা আক্তার সিমার লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালায় পুলিশ। বজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর রহস্য উৎঘাটন হয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রাজাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।