একুশের প্রথম প্রহরে রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া । পর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও উপদেষ্টারা।
এরপর আসেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা। সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাত ১২টা ০৩ মিনিটে।
এরপর পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর প্রধানেরা, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও ভাষাসৈনিকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ফুল দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় একুশে ফেব্রুয়ারির মূল কর্মসূচি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শেষ হলে শহীদ মিনার সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে শুরু করেন।
এ সময় হাজার হাজার মানুষ নগ্ন পায়ে বুকে শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ লাগিয়ে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় তাদের কণ্ঠে ছিল সেই অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’।
ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যত্র একুশের প্রথম প্রহরেই শহীদ মিনারে শুরু হয় শ্রদ্ধা জানানোর পালা, ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ মিনার।