দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আপত্তি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। দলটি জানিয়েছে, ইউপিসহ যে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হলে সামাজিক বন্ধন বিনষ্ট হবে। গ্রামে গ্রামে সংঘাত সৃষ্টি হবে।
তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, আইন প্রণয়ন করে সংসদ। সংসদ দলীয়ভাবে ইউপি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পর্যায়ে কমিশনের করার কিছু করার নেই। সংঘাত ও সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ারও আশংকা নেই।
তফসিল ঘোষণার পর রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি চিঠি পৌঁছে দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সিইসির দেখা না পেয়ে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের হাতে চিঠিটি তুলে দেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানাতে এসেছি। দলীয়ভাবে ইউপি ভোট করা অযৌক্তিক। দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন হলে সামাজিকভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। ইউপিতে প্রার্থীরা ব্যক্তি পরিচয়ে পরিচিত, রাজনৈতিক পরিচয় কাজ করে না।
তিনি বলেন, ‘একতরফা’ নির্বাচন হবে জেনেও গণতন্ত্রের স্বার্থে, গণতন্ত্রকে সম্প্রসারিত করতে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তাছাড়া এই ক্ষুদ্র পরিসরে নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারবে।
প্রথম ধাপে ২২ মার্চ দেশের ৭৩৯ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ৭৫২টি ইউপিতে তফসিল ঘোষণা করা হলেও গতকাল ১৩টি ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ৪ঠা জুন পর্যন্ত ছয় ধাপে ৪ হাজার ২৭৫টি ইউপিতে ভোট হবে।