হাওর বার্তা ডেস্কঃ সহজ ও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে অনেকেই বেছে নেন ডিম। এটি তৈরি করা সহজ বলেই প্রায় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখেন অনেকেই। এছাড়া দৈনিক সকালের নাস্তায় অনেকে ডিম ছাড়া কিছু ভাবতেই পারেন না। ডিম স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী।
নানা ভাবেই ডিম রান্না করে খাওয়া যায়। যেমন- ডিম ওমলেট, রান্না, সিদ্ধ, পোচ ইত্যাদি। অনেকেই আবার ডিমের কোরমা কিংবা কারি খেতেও ভালোবাসেন। এক কথায় সবভাবেই ডিম খাওয়া যায়। তবে ডিমের কুসুমের চেয়ে সাদা অংশ খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা।
>> ডিমে থাকা পটাশিয়াম রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, ডিমের সাদা অংশে পেপটাইড নামে একটি উপাদান থাকে যা উচ্চ রত্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
>> ডিমের সাদা অংশে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ, বি-১২ এবং ডি থাকে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন বি২ বার্ধক্যজনিত নানা ধরনের ক্ষয়রোধ, চোখের ছানি পড়া এবং মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা রোধ করে।
>> গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরো ডিম খাওয়ার চেয়ে শুধুমাত্র ডিমের সাদা অংশতে ক্যালরি ও চর্বি কম থাকে। তাই চেষ্টা করুন ডিমের কুসুম কম খাওয়ার।
>> ডিমের সাদা অংশে কোনো কোলেস্টেরল থাকে না। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তারা নির্দ্বিধায় ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে হৃদরোগ কিংবা কোলেষ্টেরলের মাত্রা বাড়ার ঝুঁকি কম থাকে।
> পুরো আস্ত ডিম প্রোটিনে ভরপুর থাকে। কিন্তু ডিমের সাদা অংশে খুব কম পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন খাবার আমাদের মাংসপেশী গঠনে সহায়তা করে।
>> ওজন কমাতে চাইলে গোটা ডিমের বদলে ডিমের সাদা অংশ খান। কারণ ডিমে খুব বেশি ক্যালরি থাকে না। আর কুসুম না থাকলে তাতে ক্যালরির পরিমাণ আরো কমে যায়। তাই অজন কমাতে এটি সহায়ক।
সূত্র : এনডিটিভি