ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাহফিলে মাওলানা মামুনুলকে পেতে মরিয়া গ্রামবাসী, পুলিশের অসম্মতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১৮২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হেফাজতে ইসলামে বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে মাহফিলে নিয়ে আসতে মরিয়া গ্রামবাসী ও ইসলামী সম্মেলনের আয়োজকরা। কিন্তু পাল্টাপাল্টি অবস্থানে পুলিশ। তারা বলছে, বিতর্কিত মাওলানা মামুনুল হককে প্রতিহত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছাতকে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের আগমনকে কেন্দ্র করে ছাতক উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আয়োজনকারীরা বলছেন, সব ধরনের বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। তাকে সুরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া দারুল কোরআন মৈশাপুর মাদ্রাসার ৪৩তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে মৈশাপুর গ্রামে আয়োজনকারীদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা আব্দুস সামাদ বলেন, ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষে ২ শতাধিক যুবককে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্মেলনের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে থানার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার প্রস্ততি চলছে। শুক্রবার রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।

থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, মাদ্রাসার মাহফিলে মামুনুল হক যাতে না আসেন, সেটা তারা দেখছেন। তবে অনুমতি ছাড়া যদি মামুনুল হক আসেন তাহলে সেটা আইনগতভাবে প্রতিহত করা হবে।

তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রোগ্রাম করতে পারবেন কিন্তু মামুনুল হক আসতে পারবেন না। এটা আমাদের লাস্ট মেসেজ। আমরা বলে দিয়েছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাহফিলে মাওলানা মামুনুলকে পেতে মরিয়া গ্রামবাসী, পুলিশের অসম্মতি

আপডেট টাইম : ১২:৫২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হেফাজতে ইসলামে বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে মাহফিলে নিয়ে আসতে মরিয়া গ্রামবাসী ও ইসলামী সম্মেলনের আয়োজকরা। কিন্তু পাল্টাপাল্টি অবস্থানে পুলিশ। তারা বলছে, বিতর্কিত মাওলানা মামুনুল হককে প্রতিহত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছাতকে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের আগমনকে কেন্দ্র করে ছাতক উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আয়োজনকারীরা বলছেন, সব ধরনের বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। তাকে সুরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া দারুল কোরআন মৈশাপুর মাদ্রাসার ৪৩তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে মৈশাপুর গ্রামে আয়োজনকারীদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা আব্দুস সামাদ বলেন, ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষে ২ শতাধিক যুবককে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্মেলনের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে থানার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার প্রস্ততি চলছে। শুক্রবার রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।

থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, মাদ্রাসার মাহফিলে মামুনুল হক যাতে না আসেন, সেটা তারা দেখছেন। তবে অনুমতি ছাড়া যদি মামুনুল হক আসেন তাহলে সেটা আইনগতভাবে প্রতিহত করা হবে।

তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রোগ্রাম করতে পারবেন কিন্তু মামুনুল হক আসতে পারবেন না। এটা আমাদের লাস্ট মেসেজ। আমরা বলে দিয়েছি।