আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য যিনি স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডেরও সদস্য তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তই আসেনি। তবে দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন শেখ হাসিনা।’
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ই থাকবে। এটা নিশ্চিত। কেননা জাতীয় সংসদের দেড় শতাধিক এমপি যে কারণে দলীয় প্রতীক ছাড়া ইউপি নির্বাচন চাচ্ছেন, সেখানে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মনে করেন, তৃণমূলে দলীয় প্রতীকের প্রতি যারা আস্থাশীল নয়; তারাই নৌকা ছাড়া নির্বাচন করতে চায়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ভোট সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট আগামী ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি’ এর নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কারণে মার্চ মাসে নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ৭ এপ্রিল কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ও বাদ পড়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। রোজার ঈদের পর বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট হবে। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ আইন সংশোধনের সময় ও সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, মে মাসে বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট করব। তখন বর্ষা থাকবে, কষ্ট হবে তবুও ভোট করতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভার পর পুরো বিষয়টি জানাতে পারব।
ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়ে আইনে কোনো সংশোধন আসবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই। সংশোধন করার দরকারও নেই। আমাদের নির্বাচনে যেসব আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট। এ সময় নির্বাচন আইনের সংশোধনের সুযোগ নেই, সময়ও নেই।