ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের পণ গরু-ছাগল-ভেড়া ওবামা-কন্যা মালিয়াকে চান কেনিয়ান তরুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০১৫
  • ৩৯৮ বার

নাম ফেলিক্স কিপরোনো, কেনিয়ান, আইনজীবী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বড় মেয়ে মালিয়ার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। মালিয়া যখন বছর দশেকে, ওবামা আমেরিকান সাম্রাজ্যের কুরসিতে বসার লড়াইয়ে জিতেছেন কেবল, সেই তখন থেকেই মালিয়াকে ভালোলাগা। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা।

চুপিসারে প্রায় সাত বছর ভালোবেসে যাওয়ার পর আর ধৈর্য্য সইলো না। কেনিয়ান সেই আইনজীবী তরুণ এবার ষোড়শী (১৬ বছর ১০ মাস) ওবামা-কন্যাকে বিয়ের ইচ্ছেও প্রকাশ করলেন।

কনের পণ হিসেবে কী দিতে চান, তার একটা তালিকাও বানিয়ে ফেলেছেন কিপরোনো। মালিয়াকে পেতে বিনিময়ে ৫০টি গরু, ৭০টি ভেড়া ও ৩০টি ছাগল দিতে চান তিনি।

সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নাইরোবিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাত্‍কারে কিপরোনো তার এই ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন।

‘কেন ওবামা-কন্যাকে বিয়ে করার শখ হলো?’ কিপরোনো বলছেন, ‘সবাই যা ভাবছে, আসলে কোনো অর্থের লোভে নয়। মালিয়াকে সত্যিই ভালোবাসি।’

মালিয়ার প্রেমে মজার পর থেকে আর কারও সঙ্গে ডেটও করেননি বলে দাবি করেন কিপরোনো।

কিন্তু সুদূর আফ্রিকায় বসে কীভাবে ওবামা কিংবা তার মেয়ে মালিয়াকে বিয়ের সরাসরি প্রস্তাব দেবেন কিপরোনো? সেই ভাবনা ভাবা আছে এ আইনজীবীর।

আগামী জুলাইয়েই পিতৃভূমি কেনিয়া সফরে আসছেন ওবামা। সেই সফরে যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার আদুরে কন্যা মালিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আসেন সেজন্য একটি চিঠি লিখে ফেলেছেন কিপরোনো। এই চিঠি যেন ওবামার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় সেজন্য রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করবেন। আর এরইমধ্যে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মালিয়ার বিষয়ে কথাও হয়ে গেছে কিপরোনো ও তার স্বজনদের।

জুলাইয়ে মালিয়ার আগমনের স্বপ্ন দেখতে থাকা কিপরোনো এর মধ্যে মধুর সব পরিকল্পনাও সাজাচ্ছেন। স্বজাতি কালেঞ্জিনের রেওয়াজ মেনেই বিয়ে করতে চান স্বপ্নের ‘রাজকুমারী’কে। ভেবে রেখেছেন, বিয়ের পর স্ত্রীকে এতিহ্যবাহী উগালি রাঁধতে শেখাবেন। শেখাবেন গরুর দুধ কীভাবে দোওয়াতে হয়। একেবারে কালেঞ্জিন উপজাতির আর দশজন সরল বধূর মতো করে মালিয়াকে গড়ে তোলার স্বপ্নও দেখছেন!

এখন স্বপ্নকন্যা মালিয়ার পথ চেয়েই স্বপ্নের জাল বুনছেন কেনিয়ান কিপরোনো!

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিয়ের পণ গরু-ছাগল-ভেড়া ওবামা-কন্যা মালিয়াকে চান কেনিয়ান তরুণ

আপডেট টাইম : ০৬:৫৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০১৫

নাম ফেলিক্স কিপরোনো, কেনিয়ান, আইনজীবী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বড় মেয়ে মালিয়ার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। মালিয়া যখন বছর দশেকে, ওবামা আমেরিকান সাম্রাজ্যের কুরসিতে বসার লড়াইয়ে জিতেছেন কেবল, সেই তখন থেকেই মালিয়াকে ভালোলাগা। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা।

চুপিসারে প্রায় সাত বছর ভালোবেসে যাওয়ার পর আর ধৈর্য্য সইলো না। কেনিয়ান সেই আইনজীবী তরুণ এবার ষোড়শী (১৬ বছর ১০ মাস) ওবামা-কন্যাকে বিয়ের ইচ্ছেও প্রকাশ করলেন।

কনের পণ হিসেবে কী দিতে চান, তার একটা তালিকাও বানিয়ে ফেলেছেন কিপরোনো। মালিয়াকে পেতে বিনিময়ে ৫০টি গরু, ৭০টি ভেড়া ও ৩০টি ছাগল দিতে চান তিনি।

সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নাইরোবিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাত্‍কারে কিপরোনো তার এই ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেছেন।

‘কেন ওবামা-কন্যাকে বিয়ে করার শখ হলো?’ কিপরোনো বলছেন, ‘সবাই যা ভাবছে, আসলে কোনো অর্থের লোভে নয়। মালিয়াকে সত্যিই ভালোবাসি।’

মালিয়ার প্রেমে মজার পর থেকে আর কারও সঙ্গে ডেটও করেননি বলে দাবি করেন কিপরোনো।

কিন্তু সুদূর আফ্রিকায় বসে কীভাবে ওবামা কিংবা তার মেয়ে মালিয়াকে বিয়ের সরাসরি প্রস্তাব দেবেন কিপরোনো? সেই ভাবনা ভাবা আছে এ আইনজীবীর।

আগামী জুলাইয়েই পিতৃভূমি কেনিয়া সফরে আসছেন ওবামা। সেই সফরে যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার আদুরে কন্যা মালিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আসেন সেজন্য একটি চিঠি লিখে ফেলেছেন কিপরোনো। এই চিঠি যেন ওবামার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় সেজন্য রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করবেন। আর এরইমধ্যে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মালিয়ার বিষয়ে কথাও হয়ে গেছে কিপরোনো ও তার স্বজনদের।

জুলাইয়ে মালিয়ার আগমনের স্বপ্ন দেখতে থাকা কিপরোনো এর মধ্যে মধুর সব পরিকল্পনাও সাজাচ্ছেন। স্বজাতি কালেঞ্জিনের রেওয়াজ মেনেই বিয়ে করতে চান স্বপ্নের ‘রাজকুমারী’কে। ভেবে রেখেছেন, বিয়ের পর স্ত্রীকে এতিহ্যবাহী উগালি রাঁধতে শেখাবেন। শেখাবেন গরুর দুধ কীভাবে দোওয়াতে হয়। একেবারে কালেঞ্জিন উপজাতির আর দশজন সরল বধূর মতো করে মালিয়াকে গড়ে তোলার স্বপ্নও দেখছেন!

এখন স্বপ্নকন্যা মালিয়ার পথ চেয়েই স্বপ্নের জাল বুনছেন কেনিয়ান কিপরোনো!