ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৪৯ বার

হাওরত বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮, বিপরীতে বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ছিল ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

চসিক নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বটে, তবে নির্বাচন বিতর্কমুক্ত থাকেনি। নির্বাচনের দিন দফায় দফায় সংঘর্ষ-সংঘাত হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি, আহত হয়েছেন শতাধিক।

পরাজিত দল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি হয়েছে। একইসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী বলে অভিযোগ করেছে দলটি।

নির্বাচনের আগে যুগান্তরের সম্পাদকীয় কলামে আমরা একাধিকবার সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিলাম। বাস্তবে নির্বাচনটি বিতর্কমুক্ত থাকতে পারল না। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে ভোট প্রদানের হারও সন্তোষজনক নয়।

আমরা মনে করি, চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব অনিয়ম হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে সেগুলো খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় সেগুলোর পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার কেন এত কম, তা-ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

আমরা চাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনই উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক। একটি বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে-প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে, নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, সেগুলোর নিষ্পত্তি করাও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ করা যায়, অধিকাংশ অভিযোগই অনিষ্পন্ন থেকে যায়।

নির্বাচনের দিন সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটে, পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় সেগুলোর যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দল এবং ভোটার শ্রেণির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

চসিকের নবনির্বাচিত মেয়রকে আমরা অভিনন্দন জানাই। প্রকৃতপক্ষে তার ওপর অনেক দায়িত্ব বর্তেছে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। বন্দরনগরী হিসাবে এর গুরুত্বও অনেক।

চট্টগ্রামবাসী জলাবদ্ধতাসহ যেসব সমস্যায় ভুগছে, সেগুলোর প্রতিকারে নবনির্বাচিত মেয়র সুষ্ঠুভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন-এটাই সবার প্রত্যাশা। আমরা আশা করব, যে নির্বাচনী ইশতেহারের বদৌলতে তিনি নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট পেয়েছেন, তার প্রতি তিনি শতভাগ আন্তরিক থাকবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

হাওরত বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮, বিপরীতে বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ছিল ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

চসিক নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বটে, তবে নির্বাচন বিতর্কমুক্ত থাকেনি। নির্বাচনের দিন দফায় দফায় সংঘর্ষ-সংঘাত হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি, আহত হয়েছেন শতাধিক।

পরাজিত দল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি হয়েছে। একইসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী বলে অভিযোগ করেছে দলটি।

নির্বাচনের আগে যুগান্তরের সম্পাদকীয় কলামে আমরা একাধিকবার সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিলাম। বাস্তবে নির্বাচনটি বিতর্কমুক্ত থাকতে পারল না। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে ভোট প্রদানের হারও সন্তোষজনক নয়।

আমরা মনে করি, চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব অনিয়ম হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে সেগুলো খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় সেগুলোর পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার কেন এত কম, তা-ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

আমরা চাই, জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনই উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক। একটি বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে-প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে, নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, সেগুলোর নিষ্পত্তি করাও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ করা যায়, অধিকাংশ অভিযোগই অনিষ্পন্ন থেকে যায়।

নির্বাচনের দিন সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটে, পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় সেগুলোর যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দল এবং ভোটার শ্রেণির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

চসিকের নবনির্বাচিত মেয়রকে আমরা অভিনন্দন জানাই। প্রকৃতপক্ষে তার ওপর অনেক দায়িত্ব বর্তেছে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। বন্দরনগরী হিসাবে এর গুরুত্বও অনেক।

চট্টগ্রামবাসী জলাবদ্ধতাসহ যেসব সমস্যায় ভুগছে, সেগুলোর প্রতিকারে নবনির্বাচিত মেয়র সুষ্ঠুভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন-এটাই সবার প্রত্যাশা। আমরা আশা করব, যে নির্বাচনী ইশতেহারের বদৌলতে তিনি নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট পেয়েছেন, তার প্রতি তিনি শতভাগ আন্তরিক থাকবেন।