ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চালের বাজার অস্থিতিশীল, কমেছে সব সবজির দাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমদানি করা চাল দেশে আসলেও এখনো খুচরা বাজারে আসেনি। আমদানি শুরু হলে গত সপ্তাহে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা কমলেও এ সপ্তাহে কমেনি। বরং ২-৩ টাকা বেড়েছে। অপরদিকে পেঁয়াজ ও আলুসহ সব ধরনের সবজির দামই কমেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির চাল বাজার এলে প্রতিকেজিতে অন্তত ৮-১০ টাকা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরানবাজার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত থেকে দেশে এসেছে ৬ হাজার টন চাল।  বেসরকারিভাবে যারা চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন তাদের শর্ত দেওয়া হয়েছে, আমদানির অনুমতিপত্র অনুমোদনের সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চাল বাজারে সরবরাহ করতে হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে  প্রতি কেজি চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকায়, এ সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। বাসমতি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬৬-৭০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭৪ টাকায়।

মিনিকেট গত সপ্তাহে ৬০-৬১ টাকা কেজি ছিল, এ সপ্তাহে দাম বেড়ে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬২ টাকা কেজি, এই সপ্তাহে ৫০-৬৪ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গুটিস্বর্না গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪২-৪৩ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৪৩-৪৪ টাকা।

পাইজাম গত সপ্তাহে ছিল ৪৪-৪৬ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৪৬-৪৭ টাকা। ২৮ চাল ছিল ৪৯-৫০ টাকা, এ সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হচ্ছে। কাটারি ভোগ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে।

কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্স এর মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে ভারতের চাল আসবে আসবে ভাব ছিল তখন চালের দাম কমেছিল।  কিন্তু এ সপ্তাহে ব্যাপকভাবে চাল খুচরা বাজারে আসেনি। ফলে গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে আবার ২-৩ টাকা বেড়েছে। টেস্ট হিসেবে ভারতীয় চাল কয়েক বস্তা সংগ্রহ করেছি, কিন্তু ইন্ডিয়া থেকে যে নাজিরশাইল এসেছে তা মানুষ নিতে চাচ্ছে না। তিনি বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না, এভাবে ব্যবসা করা যায় না। এজন্য চালের সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ ও সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে।

এদিকে, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে কমেছে আলু, পেঁয়াজসহ সব ধরনের সবজির দাম।  এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। নতুন সাদা আলু কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। গাজর গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে কেজি ৩০-৩৫ টাকা, তবে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শালগম ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আধাপাকা টমেটো কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মুলা ৫-১০ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি, সিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা ও শশা বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১৫-২০ টাকা পিস। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মরিচের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ৮০-৮৫ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০ টাকা দরে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ কেজি দরে।

তবে সবজির আকার ও মানভেদে রাজধানীর অন্যান্য খুচরা বাজারের কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী লতিফ মিয়া বলেন, সবজির দাম কখনো ঠিক থাকে না। সারা দেশ থেকে সরবরাহের উপর নির্ভর করে এর দাম। এ সপ্তাহে সব সবজিই প্রচুর এসেছে।  তাই দাম কম।

এদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা কেজি।  পাকিস্তানি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজিতে। লাল কর্ক মুরগির দাম কমেছে-  গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চালের বাজার অস্থিতিশীল, কমেছে সব সবজির দাম

আপডেট টাইম : ০৪:০০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমদানি করা চাল দেশে আসলেও এখনো খুচরা বাজারে আসেনি। আমদানি শুরু হলে গত সপ্তাহে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা কমলেও এ সপ্তাহে কমেনি। বরং ২-৩ টাকা বেড়েছে। অপরদিকে পেঁয়াজ ও আলুসহ সব ধরনের সবজির দামই কমেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির চাল বাজার এলে প্রতিকেজিতে অন্তত ৮-১০ টাকা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরানবাজার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত থেকে দেশে এসেছে ৬ হাজার টন চাল।  বেসরকারিভাবে যারা চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন তাদের শর্ত দেওয়া হয়েছে, আমদানির অনুমতিপত্র অনুমোদনের সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চাল বাজারে সরবরাহ করতে হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে  প্রতি কেজি চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকায়, এ সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। বাসমতি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬৬-৭০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭৪ টাকায়।

মিনিকেট গত সপ্তাহে ৬০-৬১ টাকা কেজি ছিল, এ সপ্তাহে দাম বেড়ে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬২ টাকা কেজি, এই সপ্তাহে ৫০-৬৪ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গুটিস্বর্না গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪২-৪৩ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৪৩-৪৪ টাকা।

পাইজাম গত সপ্তাহে ছিল ৪৪-৪৬ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৪৬-৪৭ টাকা। ২৮ চাল ছিল ৪৯-৫০ টাকা, এ সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হচ্ছে। কাটারি ভোগ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে।

কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্স এর মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে ভারতের চাল আসবে আসবে ভাব ছিল তখন চালের দাম কমেছিল।  কিন্তু এ সপ্তাহে ব্যাপকভাবে চাল খুচরা বাজারে আসেনি। ফলে গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে আবার ২-৩ টাকা বেড়েছে। টেস্ট হিসেবে ভারতীয় চাল কয়েক বস্তা সংগ্রহ করেছি, কিন্তু ইন্ডিয়া থেকে যে নাজিরশাইল এসেছে তা মানুষ নিতে চাচ্ছে না। তিনি বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না, এভাবে ব্যবসা করা যায় না। এজন্য চালের সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ ও সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে।

এদিকে, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে কমেছে আলু, পেঁয়াজসহ সব ধরনের সবজির দাম।  এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে। নতুন সাদা আলু কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। গাজর গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে কেজি ৩০-৩৫ টাকা, তবে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শালগম ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আধাপাকা টমেটো কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মুলা ৫-১০ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি, সিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা ও শশা বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১৫-২০ টাকা পিস। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মরিচের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ৮০-৮৫ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০ টাকা দরে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ কেজি দরে।

তবে সবজির আকার ও মানভেদে রাজধানীর অন্যান্য খুচরা বাজারের কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী লতিফ মিয়া বলেন, সবজির দাম কখনো ঠিক থাকে না। সারা দেশ থেকে সরবরাহের উপর নির্ভর করে এর দাম। এ সপ্তাহে সব সবজিই প্রচুর এসেছে।  তাই দাম কম।

এদিকে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা কেজি।  পাকিস্তানি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজিতে। লাল কর্ক মুরগির দাম কমেছে-  গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।